পার্থপ্রতিম ঘোষ, মুর্শিদাবাদ: পুনর্নির্বাচনেও অশান্তি বহাল। এবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরে আরএসপি প্রার্থী নিখোঁজ। খোঁজ মিলছে না আরএসপি প্রার্থী (RSP Candidate) আজাবুল ইসলামের, এমনটাই খবর। এদিকে নিখোঁজ প্রার্থীর কোনও খবর না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা এবং পরিবার। ভয় দেখানো হচ্ছে বলে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন নিখোঁজ প্রার্থীর মা। ভোট দিতে যাব না, বলছেন নিখোঁজ প্রার্থীর স্ত্রী। 

  


আজ রানিনগরে পুনর্নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু ভয়ে ভোট দিতে যেতে চাইছেন না কেউই। নিজেদের প্রাণের ভয় যেমন রয়েছে, তেমন নিখোঁজ ছেলের প্রাণের ভয়ও রয়েছে। কোথায় তাঁদের ছেলে তা জানেন না তাঁরা কেউ। এদিন ছেলের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আজাবুল ইসলামের মা। তিনি বলেন, 'আমরা গরীব মানুষ। টাকা আমাদের নেই। কারও নাম করতে পারব না। খুব ভয়ে রয়েছি। ভোট আমরা দিতে যাব না।' 


এদিকে, ভোটের দিন (Panchayat Election) কংগ্রেসের হাতে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। গতকাল রাতে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের আহত তৃণমূল কর্মীর। পরিবারের দাবি, ভোটের দিন, সিজারুল শেখ নামে বছর ৩৪-এর তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে কংগ্রেস আশ্রিত দুষকৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় সিজারুলকে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। 


অভিযোগ, অবস্থার অবনতি হওয়ায়, সেদিনই রাতে তাঁকে আনা হচ্ছিল কলকাতায়। কিন্তু কংগ্রেসের অবরোধের জেরে আটকে পড়ে গাড়ি। সন্ধেয় ফের ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্য়াল কলেজে। গত কাল রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মীর।  


আরও পড়ুন, স্ট্রং রুমের ভিতর খোদ তৃণমূল বিধায়ক! নির্মল মাজির বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদের রানিনগর। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা। ব্যাগ ভর্তি বোমা হাতে তৃণমূল নেতার দাপাদাপি। রাস্তাঘাটে নুড়ি পাথরের মতো ছড়িয়ে ছিল সকেট কিম্বা বোতল বোমা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছুটতে দেখা গিয়েছিল পুলিশ বাহিনীকে। 


অন্যদিকে, রাজ্যপালের মুর্শিদাবাদ সফরের মধ্যেই খুন কংগ্রেস কর্মী। রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুরে কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, আজ সকালে কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় ওই কংগ্রেস কর্মীকে ইসলামপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত কংগ্রেস কর্মী হেরামপুর পঞ্চায়েতের এক কংগ্রেস প্রার্থীর আত্মীয়। হামলার যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই নিয়ে ভোট ঘোষণার পর থেকে ৩০ দিনে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।