কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এর আগেও দেখেছে বাংলা। তবে ধনখড়ের পর সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) ওই পদ মর্যাদায় আসার পর, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শুরুটা বাংলায় হাতেখড়ি হলেও পরে নন্দিনী ইস্যু আসার পর শুভেন্দুর কথায়, 'আস্তে আস্তে ট্র্যাকে ফিরছেন রাজ্যপাল'  পরিস্থিতিও দেখেছে বঙ্গ। যা ধীরে ধীরে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে শেষঅবধি প্রাক নির্বাচনী অশান্তির পর গ্রাফটা আরও নেমে গিয়েছে।  কারণ ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পর্ব ঘিরে গোটা রাজ্যে একাধিক জেলায় হিংসা-অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এমনকি খুন হওয়াও বাদ যায়নি। রাজ্যপাল নিজে ভাঙড়-ক্যানিং সফরে গিয়েছেন। কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। আর ঠিক এই পয়েন্টেই প্রশ্নে তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) নিশানা করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 






দিলীপ ঘোষ বলেন,  'রাজ্যপাল তাঁর মতো করে করছেন। কিন্তু তাঁর একটা সীমা আছে। তিনি নির্দেশ দিতে পারেন। কিন্তু এই সরকার তো কারও নির্দেশ মানে না। যেখানে সন্ত্রাস হচ্ছে, সেখানে নিজে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া উচিত। তিনি পুলিশমন্ত্রী। পুলিশ একরকম রিপোর্ট দিচ্ছে। পুলিশমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী আরেকরকম রিপোর্ট দিচ্ছে। পুলিশ বলছে একটাও মৃত্যু হয়নি। সেই রিপোর্ট দেখানো হবে কোর্টে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়িয়ে বলছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বলছেন, পুলিশমন্ত্রী হিসেবে বা তৃণমূলের নেত্রী হিসেবে বলছেন, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। তিনি বলছেন আমার পার্টির দুজন মারা গেছে। তাঁর পার্টির দুজন মারা গেছে, কংগ্রেসের দুইজন মারা গিয়েছে। সিপিএমের মারা গেছে। এই যে অভিযোগ করা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশের রিপোর্টে সেটা নেই কেন ? যেটা সরকারিভাবে যাবে। এই চালাকিটা কেন করানো হচ্ছে ?'


প্রসঙ্গত, রাজভবনে কন্ট্রোল রুমে খোলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১০০-র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজভবনের দ্বারস্থ দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ। রাজভবনের কন্ট্রোল রুমে ফোন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তের। মুখ্যসচিব ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রাজ্যপালের। দার্জিলিঙের জেলাশাসককে ফোন করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেই প্রবল হিংসার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যজুড়ে। একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পরপর চারদিন ধরে কার্যত সন্ত্রাসের আবহ ছিল ভাঙড়ে।  উত্তর থেকে দক্ষিণ নানা জেলায় মনোনয়ন পর্বে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট করার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। ভাঙড়ের ঘটনার পরে সেই এলাকায় পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীকে বোমা সরাতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যপালের ভাঙড় সফর নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিল তৃণমূল। এর পরে ক্যানিং সফরে যান রাজ্যপাল।