কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) উল্টো ছবি পুননির্বাচনে। দেখা গেল একটু অন্য় রকম ছবি। স্বমহিমায় রয়েছে, পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন যে, পঞ্চায়েত ভোটের দিন পুলিশের এই সক্রিয়তা কোথায় ছিল? তাহলে কি গোটাটাই পূর্ব পরিকল্পনামাফিক?


উল্টো ছবি পুননির্বাচনে: বিরোধীরা বলছে, বঙ্গে ভোটের দিন পুলিশের ভূমিকা ছিল, অনেকটা শিব ঠাকুরের আপন দেশের মতো। পঞ্চায়েত ভোটের দিন যেখানে বুথে বুথে অশান্তি হয়েছে, বন্দুক হাতে দাপাদাপি, বোমাবাজি, ভোট লুঠ হয়েছে। ব্যালট বক্স পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কোথাও সেভাবে পুলিশকে দেখা মেলেনি। কার্যত কর্পুরের মতো উবে গেছিল হাইকোর্টের নির্দেশে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীও! না কি তাদের অদৃশ্য করে রাখা হয়েছিল?  আর, পঞ্চায়েতের পুননির্বাচনের দিন দেখা গেল একটু অন্য় ছবি। হঠাৎই স্বমহিমায় পুলিশ। দৃঢ় কেন্দ্রীয় বাহিনী।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে,ভোটারদের আতঙ্ক কাটাতে বাড়ি বাড়ি গেলেন এসডিপিও ক্যানিং।দেওয়া হয় পাশে থাকার বার্তা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন, ফুল মালঞ্চের এই বুথে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী। এদিন, পুননির্বাচনে এই বুথে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। মোতায়েন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পাঞ্জাব পুলিশ। ডায়মন্ড হারবারের নেতড়ায় রুটমার্চ করে পুলিশ। আশ্বস্ত করে ভোটারদের। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গাতেও একই ছবি। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করতে দেখা গেল পুলিশকে। দত্তপুকুরে, বুথ সংলগ্ন এলাকায় টহল দেয় পুলিশ। হঠিয়ে দেয় বেআইনি জমায়েত। কল্যাণীর সগুনায়, এজেন্টদের বুথে আসার জন্য, হ্যান্ড মাইকে প্রচার করে রাজ্য পুলিশ। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে বুথের সামনে জমায়েত হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। কোচবিহারের দিনহাটায় নির্বাচনের দিন খুন হয়েছিলেন এক ভোটার। এদিন পুননির্বাচনে, এই বুথে কড়া নিরাপত্তা ছিল। মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। দিনহাটারই ভাগ্নী ২ নম্বর বুথে ধাওয়া করে, বহিরাগত-সহ একটি গাড়ি আটকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর লাঠিসোটা। দিনহাটার নিউ গীতালদহে, উলটপুরাণ। কেন্দ্রীয় থাকলে পুননির্বাচনের করতে হত না। বিরোধীদের সুরে বলছেন তৃণমূলেরই দুই প্রার্থী। মুর্শিদাবাদের রানিনগরেওনিরাপত্তার আটোসাটো ছবি। রাজারহাটের জ্যাংরায়,হাতে নাতে ভুয়ো ভোটারকে ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনী।বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামেও নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনির একই ছবি।

আর, এসব দেখে বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন যে, পঞ্চায়েত ভোটের দিন পুলিশের এই সক্রিয়তা কোথায় ছিল? ৬০ হাজারের বেশি বুথে যেদিন ভোট হল, সেদিন কেন পুলিশকে এই ভূমিকায় দেখা যায়নি? কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও এভাবে কাজে লাগানো হয়নি?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Hair Thinning: হেয়ার থিনিং কী? কেন এই সমস্যা দেখা দেয়?