গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েতের টিকিট বিলি থেকে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমছিল। এবার নির্বাচনের মুখে আবারও বিস্ফোরক দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা (Giasuddin Molla)।
মূলত টিকিট বিলি নিয়ে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও ক্ষোভ ঝরে পড়ল তাঁর গলায়। তিনি বললেন,‘ রাজনীতি করে কীসের দুঃখ? কীসের রাগ ? দলটা তো আমার নয়, দলটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তিনি যেমন চালাবেন, তেমন চলব। এতে দুঃখ করেও লাভ নেই, রাগ করেও লাভ নেই। এটাতো দলের সম্পত্তি। দল যেটা ভাল বুঝেছে, সেটা করেছে।’ দলে কি তাঁর গুরুত্ব কমছে?‘ সেটাও বলতে পারব না। দলে গুরুত্ব বেশি না কম। ’৮৪ সাল থেকে রাজনীতি করছি। আমি ফুটপাথে ছিলাম, দিদি আমাকে তুলে এনে মানুষ করেছে। দল যেদিন ভাল লাগবে না বসে যাব।’ এবারের প্রচারে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না কেন?‘ শরীর ভাল নেই। তার মধ্যে যতটা পারছি করছি।’
প্রসঙ্গত, গত মাসে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Paragana) তৃণমূলে (TMC) ভাঙন প্রকাশ্যে আসে। ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছিল পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিট। আর সেই টাকা নিয়েছিলেন বিধায়ক। শুধু তাই নয় টিকিট পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ৩ বছর ধরে সংগঠনের কাজ করছিলেন। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তৃণমূল ছেড়ে আইএসএফে (ISF) যোগ দেন শতাধিক কর্মী, সমর্থক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির কামারচক গ্রাম পঞ্চায়েতের চকতারাবৈদ্য গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছিল। দলবদলের পরেই তৃণমূলের অঞ্চল অফিস দখল করে নিয়েছিল আইএসএফ। তাঁদের দাবি, তৃণমূল যে টাকার বিনিময়ে টিকিট দিচ্ছে, এটাই তার প্রমাণ। কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার সেসময় পাল্টা দাবি তুলে বলেছিলেন, অভিযোগকারীরা একুশের বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই আইএসএফের সঙ্গে যুক্ত। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত মেনেই তৃণমূলে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
ISF প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়ার 'মাশুল' গুনতে হয়েছিল সরকারি কর্মীকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের আইএসএফের সম্পাদক মনোনয়ন ফর্ম নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরই, বিডিও অফিসের কর্মীর ওপর চড়াও হয়েছিল তৃণমূলের কর্মীরা।