সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: তৃণমূল (TMC)-সিপিএম (CPIM) সংঘর্ষ ঘিরে রণক্ষেত্র নদিয়ার (Nadia) তেহট্টের আশরফপুর। পুলিশের (Police) দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত হন তেহট্ট থানার আইসি তাপস পাল-সহ ৫ পুলিশ কর্মী। আহতরা তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।                                                                


ঠিক কী ঘটেছে? 


গতকাল এলাকায় মিছিল করে প্রচার করছিল সিপিএম। প্রচার ভ্যান নিয়ে সেখানে হাজির হন তৃণমূল কর্মীরাও। অভিযোগ, কথা কাটাকাটি থেকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে তেহট্ট থানার পুলিশ। সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশই তাদের কর্মী, সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, সিপিএমই তাণ্ডব চালিয়েছে। 


আক্রান্ত প্রার্থীরাও


তবে শুধু পুলিশ নয়, আক্রান্ত হচ্ছেন প্রার্থীরাও। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর তাণ্ডব। সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি ও পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের দুষকৃতীদের বিরুদ্ধে। ধূপগুড়ির মাগুরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রার্থী মহম্মদ আলিমুদ্দিন।তাঁর অভিযোগ, গতকাল রাতে গ্রামে দাপিয়ে বেড়ায় তৃণমূলের বাইক বাহিনী। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। সিপিএমের আশঙ্কা, অবিলম্বে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা না হলে গ্রামবাসীরা ভোট দিতে পারবেন না। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।                  


বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠলো সিপিএমের বিরুদ্ধে। ডাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী আপেল হক। তাঁর দাবি, গতকাল রাতে প্রচার সেরে ফেরার সময়, তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের মধ্যে বচসা হয়।  তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, তার জেরেই বাড়িতে ঢোকার মুখে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে সিপিএমের দুষকৃতীরা। প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী। সিপিএম প্রার্থী সাজিরুল শেখের দাবি, উল্টে তৃণমূল প্রার্থীই বাম কর্মী, সমর্থকদের মারধর করেন।                            


 


আরও পড়ুন, একাধিকের সঙ্গে সম্পর্ক, মেনে নিতে পারে না সঙ্গিনীরাও! রেগে ডিভোর্স করে পাখিরাও