কলকাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) দিনে সন্ধে পর্যন্ত একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। গ্রাম বাংলা দখলের ভোটপর্ব শুরুর সময় থেকে বঙ্গে প্রাণ গিয়েছে মোট ৩৩ জনের। বেলাগাম হিংসার সাক্ষী হয়েছে রাজ্য। গ্রাম বাংলা দখলের লড়াইয়ে বেলাগাম হিংসার সাক্ষী হতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। তেইশের পঞ্চায়েতে ব্যাপক হিংসার পর ফলাফলের ইঙ্গিত কোন দিকে ? কোন জেলায় কোন দলের পাল্লা ভারী ? গত পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের সঙ্গে কতটা হবে ফারাক ? রইল জেলা পরিষদের জেলাওয়াড়ি Exit Poll-র ফলাফল। 


ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য়েই সম্ভাব্য় ফলাফলের একটা আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার (C Voter)। ভোটের দিন ২০টি জেলা পরিষদের ১৩ হাজার ২৮৯ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত করা সমীক্ষায় যা উঠেছে এসেছে, তার ভিত্তিতেই সার্ভের ফলাফল তুলে ধরেছে তারা। এই এক্সিট পোলে মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস পাঁচ শতাংশ।


কোচবিহারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত। কোচবিহারে (Coochbehar) জেলা পরিষদে মোট আসন ৩৪। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ১২ থেকে ১৮ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১৭ থেকে ২১ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে ১ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারে জেলা পরিষদের আসন ছিল ৩৩ টি। যেখানে ৩২টিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ১ টি গিয়েছিল অন্যান্যদের ঝুলিতে। বিজেপি, বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস কোনও আসন পায়নি জেলা পরিষদে।


তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দখল দৃঢ় থাকারই সম্ভাবনা বেশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) জেলা পরিষদে মোট আসন ৮৫। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৬৬ থেকে ৭৬ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৯ থেকে ১৫ টি। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ৩ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের আসন ছিল ৮১ টি। যার সবকটিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। 


পুরুলিয়ায় জেলা পরিষদে মোট আসন ৪৫। পুরুলিয়ায় (Purulia) তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ২৬ থেকে ৩৬ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৮ থেকে ১৪ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ৩ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের আসন ছিল ৩৮ টি। যার ২৬ টি জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৯ টি গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। কংগ্রেস পেয়েছিল ৩ টি আসন। বামফ্রন্ট জেলা পরিষদে কোনও আসন পায়নি।


মুর্শিদাবাদে শাসকদলকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেবে বাম-কংগ্রেস। ইঙ্গিত তেমনই। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) জেলা পরিষদে মোট আসন ৭৮। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৪৩ থেকে ৫৩ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ০ থেকে ৩ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে ২৪ থেকে ৩৪ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের আসন ছিল ৭০ টি। যার ৬৯ টি-ই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস পেয়েছিল এপর আসনটি।


অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) না থাকলেও বীরভূমে তৃণমূলের দখলই দৃঢ় থাকার সম্ভাবনা। বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদে মোট আসন ৫২। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৩৯ থেকে ৪৯ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩ থেকে ৯ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ৩ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে জেলা পরিষদের ৪২ আসনের সবকটিই জিতেছিল রাজ্যের শাসকদল।


শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড় পূর্ব মেদিনীপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত বিজেপি-তৃণমূলের। পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) জেলা পরিষদে মোট আসন ৭০। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৩৭ থেকে ৪৭ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২৫ থেকে ৩১ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ২ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের আসন ছিল ৬০ টি। যার সবকটিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। 


জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) জেলা পরিষদে মোট আসন ২৪। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ১৮ থেকে ২২ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২ থেকে ৬ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ১ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের আসন ছিল ১৯ টি। যার সবকটিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। 


হুগলিতে (Hooghly) জেলা পরিষদে মোট আসন ৫৩। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৪০ থেকে ৫০ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৪ থেকে ১০ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ৩ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলি জেলা পরিষদের আসন ছিল ৫০ টি। যার সবকটিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। 


পশ্চিম বর্ধমানে (Paschim Burdhaman) জেলা পরিষদে মোট আসন ১৮। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ১২ থেকে ১৮ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১ থেকে ৫ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ১ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের আসন ছিল ১৭ টি। যার সবকটিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। 


সি ভোটারের এক্সিট পোল জানাচ্ছে, ২১ আসনের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ১২ থেকে ১৬ টি। আর বিজেপি যেখানে পেতে পারে ৫ থেকে ৯ টি আসন। আর শূন্য থেকে ১ টি আসন যেতে পারে বাম-কংগ্রেসের দখলে। যেখানে ২০১৮ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur) জেলা পরিষদে আসন ছিল ১৮ টি। যার সবকটি আসনই গিয়েছিল রাজ্যের শাসকদলের দখলে। প্রসঙ্গত, যার পরের বছরই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জিতেছিলেন গেরুয়া শিবিরের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। 


আঠারোর হিসেবে উল্টে দিয়ে আলিপুরদুয়ারে জেলা পরিষদ দখল করতে পারে বিজেপি। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) জেলা পরিষদে মোট আসন ১৮। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৪ থেকে ৮ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১০ থেকে ১৪ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ১ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের আসন ছিল ১৮ টি। যার ১৭টি জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি জিতেছিল ১ টি আসনে।


পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) জেলা পরিষদে মোট আসন ৬০। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৩৫ থেকে ৪৫ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১৬ থেকে ২২ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ৩ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের আসন ছিল ৫১ টি। যার সবকটিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।


উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা পরিষদে মোট আসন ৬৬। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৫১ থেকে ৬১ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২ থেকে ৮ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে ৩ থেকে ৭ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের আসন ছিল ৫৭ টি। যার সবকটিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।


ঝাড়গ্রামে (Jhargram) জেলা পরিষদে মোট আসন ১৯। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ১৩ থেকে ১৯ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১ থেকে ৫ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ১ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের আসন ছিল ১৬ টি। যার ১৩ টি জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৩ টি আসন গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে।


পূর্ব বর্ধমানে (Purba Burdhaman) জেলা পরিষদে মোট আসন ৬৬। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৫০ থেকে ৬০ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৬ থেকে ১২ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ৩ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের আসন ছিল ৫৮ টি। যার সবকটিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।


মালদা (Malda) জেলা পরিষদে মোট আসন ৪৩। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ২০ থেকে ২৮ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২ থেকে ৬ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে ১৪ থেকে ১৬ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলা পরিষদের আসন ছিল ৩৮ টি। যার ৩০ টি জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির দখলে গিয়েছিল ৬ টি ও কংগ্রেস পেয়েছিল ২ টি আসন।


হাওড়া (Howrah) জেলা পরিষদে মোট আসন ৪২। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৩০ থেকে ৩৮ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৪ থেকে ৮ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ২ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাওড়া জেলা পরিষদের আসন ছিল ৪০ টি। যার ৩৯ টিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ১ টি পেয়েছিলন অন্যান্যরা।


উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) জেলা পরিষদে মোট আসন ২৬। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ২২ থেকে ২৬ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ০ থেকে ৩ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ২ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের আসন ছিল ২৬ টি। যার ২৪টিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ও বামফ্রন্ট জেলা পরিষদে ১ টি করে আসন জিতেছিল।


নদিয়া (Nadia) জেলা পরিষদে মোট আসন ৫২। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৩৫ থেকে ৪৫ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৯ থেকে ১৫ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ৩ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদিয়া জেলা পরিষদের আসন ছিল ৪৭ টি। যার  ৪৫ টিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির দখলে গিয়েছিল ২ টি আসন।


বাঁকুড়া (Bankura) জেলা পরিষদে মোট আসন ৫৬। যেখানে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রাপ্ত আসন ৪১ থেকে ৫১ টি। বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৬ থেকে ১২ টি। বাম-কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে শূন্য থেকে ২ টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের আসন ছিল ৪৬ টি। যার সবকটিই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।


কিন্তু ওপিনিয়ন পোল হোক কিংবা এক্সিট পোল, কোনওটাই শেষ কথা নয় ! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। এই এক্সিট পোলের সঙ্গে এবিপি আনন্দর এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আর মানুষ প্রকৃতভাবে তার মতামত দিতে পারল কি পারল না ? সেই বিতর্ক কিন্তু রয়েই গেল।


আরও পড়ুন- 'কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে না কে কাকে কখন গুলি করে দেবে' রক্তস্নাত রাজ্যে রাজীবের দোহাই


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial