কলকাতা : কোন দিকে ঝুঁকে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) ? শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জেলায় কেমন ফলাফল হতে পারে বিজেপির ? পূর্ব মেদিনীপুরে রাজ্যের শাসকদলকে কি টেক্কা দেবে গেরুয়া শিবির ? নাকি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার গড়ে তৃণমূল স্তরে বজায় থাকবে ঘাসফুল শিবিরের একচ্ছত্র দাপট ? পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) যত এগিয়ে এসেছে, ততই প্রকাশ্যে উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্ব। তার প্রভাব কি পড়বে ভোটবাক্সে ? আর কয়েকদিনের মধ্যে ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন রাজ্যবাসী। তার ঠিক আগে ইঙ্গিত, পূর্ব মেদিনীপুরে হতে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি রাজনৈতিক লড়াই।
সি ভোটারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭০ আসনের জেলা পরিষদে টানটান আসন লড়াই হতে পারে তৃণমূল বিজেপির। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, জেলা পরিষদে ৩১ থেকে ৪১ আসন পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদে ৩০ থেকে ৩৬ আসন যেতে পারে বিজেপির দখলে। শূন্য থেকে ৩ টি আসন যেতে পারে বাম-কংগ্রেস জোটের ভাগ্যে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৬০ আসনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে সবকটি আসনই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে বিজেপি, বাম বা কংগ্রেস, কেউই খাতাই খুলতে পারেনি। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে ২০০৮ সালের পঞ্চায়েতে রাজ্যে দুটি জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেগুলি যথাক্রমে উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর।
প্রসঙ্গত, এ রাজ্য়ের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ। কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা, কোনওটাই শেষ কথা নয়। গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।
আরও পড়ুন- জেলা পরিষদে কোথাও কি ভাল ফল করতে পারবে বিরোধীরা? কী বলছে C-Voter এর সমীক্ষা ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন