হাওড়া : মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রক্তাক্ত হচ্ছে বাংলা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দামামা বাজার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে অশান্তির বাতাবরণ। এর মাঝেই গ্রাম বাংলার ভোটের জন্য বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মহামান্য আদালতের রাজ্য নির্বচন কমিশনকে নির্দেশ, ভোট কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 


পঞ্চায়েত ভোটে শুধু পুলিশ নয়, হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই, বিরোধীদের দাবিতেই মান্যতা হাইকোর্টের। আদালতের নির্দেশে, জোর ধাক্কা কমিশন-রাজ্যের। স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি যে সমস্ত জেলায় রাজ্য পুলিশের অভাব রয়েছে, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার বার্তা দিয়েছে আদালত। কমিশনকে সেই দায়িত্বভার ছাড়ার সঙ্গেই ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কড়া বার্তাও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট


প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি ছিল, নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাঝে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা না হলে তারা ভোটের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকবেন। আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিল একটি শ্রেণি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আদালতের এই নির্দেশে সরকারি কর্মীরা ভোটের দায়িত্বপালনের বিষয়ে বাড়তি কিছুটা স্বস্তি-ভরসা পাবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


কমিশনের তরফে জানানো, স্পর্শকাতর জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, দঃ ৪ পরগনা, উঃ ২৪ পরগনার একাংশ, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, হুগলিতেও এখনই বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ হাইকোর্টের। রাজ্যের প্রত্যেকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে সমস্ত বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ, প্রয়োজনে ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ। পাশাপাশি মহামান্য আদালত জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটের সুরক্ষায় মোতায়েন করা যাবে না সিভিক ভলান্টিয়ার। সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনেই ভোট করানোর নির্দেশ । নিরুপায় হলে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে, নির্দেশ হাইকোর্টের।


আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের


মনোনয়নের সময়সীমায় যদিও এখনই হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট । রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ৯ জুনের বিজ্ঞপ্তিই বহাল রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে কমিশন, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কমিশনের উপরেই ছাড়ল হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জোড়া মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে ভোটগ্রহণ, মননোয়ন পেশের সময়সীমা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দায়ের হয় মামলা। বিরোধীদের দাবি ছিল, মনোনয়নে জমা দেওয়ার জন্য সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টের পর্যন্ত যে সময় বরাদ্দ করা হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু মনোনয়নের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল না আদালত।