মালদা: মালদার মানিকচকে ছাপ্পা ভোটের পর ব্যালট বক্স নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। মানিকচক ব্লকের ছোট ধরমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫৪ নম্বর বুথের ঘটনা। ব্যালট বক্স নিয়ে পালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল।


দিনভর ভোট পর্ব জুড়ে একাধিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদা। দেখে নেওয়া যাক, মালদাজুড়ে কোথায় কী ঘটল সারাদিন।


চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৬ নম্বর বুথের ঘটনা। ব্যালট বাক্স নিয়ে থানায় হাজির হলেন তৃণমূল প্রার্থী। ভোট চলাকালীন কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আতঙ্কে ভোটকেন্দ্র ছেড়ে পালান ভোট কর্মীরা। ব্যালট বাক্স নিয়ে চাঁচল থানায় চলে যান তৃণমূল প্রার্থী মতিউর রহমান। ভোট লুঠের আশঙ্কা থেকেই এই কাজ বলে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি।  


অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের পশ্চিম বেলশুঁড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের ভিতরে ঢুকে গুলি করার অভিযোগ উঠল দুষকৃতীদের বিরুদ্ধে। কয়েকজন ভোটার জখম হন বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন ভোট কর্মীরা। স্থানীয়দের দাবি, বুথ দখল করে দেদার ছাপ্পা মারা হয়। কিছু ব্যালট লুঠ করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।


কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত কালিয়াচকের নওদা যদুপুর এলাকা। চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ এক ভোটার। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বুথ দখলের চেষ্টা করে তৃণমূল নেতা বকুল শেখের ভাই রাজু শেখ। সেইসময় প্রতিরোধ গড়ে তোলে কংগ্রেস।আতঙ্কে নওদা যদুপুরের কলিমুদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকর্মীরা বুথ ছেড়ে পালান। তাঁদের আটকে বুথে ফেরত নিয়ে যান কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাস্তায় বাঁশ হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের দুষকৃতীরা। পুলিশ নির্বিকার।  


মালদার ইংরেজবাজারে দেদার ছাপ্পা। ৩৭ ও ২২৪ নম্বর বুথ দখল করে প্রকাশ্যে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 


হরিশ্চন্দ্রপুরের রাড়িয়াল গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে কোপ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ, ভোট দিতে যাওয়ার পথে, কংগ্রেস কর্মীর গলায় কোপ মারে তৃণমূলের দুষকৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কংগ্রেস কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 


রতুয়ায় বুথের বাইরে ব্যাপক বোমাবাজি। বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হাতে ব্যাগ ভর্তি বোমা নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের দুষকৃতীরা। একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজ। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সীর মদতেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে বাহারাল বাস স্ট্যান্ডে পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ও সমর্থকরা। 


ভোটের সকালে মালদার মানিকচকে ভোটের বলি এক। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে, বোমা মেরে খুন। নিহত শেখ মালেক তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির আত্মীয়। ভোট শুরুর আগে সকাল থেকে তৃণমূল-কংগ্রেস সংঘর্ষে বোমাবাজি শুরু হয়। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। উভয়পক্ষের ৮ জন জখম হন। রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বোমা। ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন ভোটাররা।