দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভয়ের ভাঙড়ে ফের বিস্ফোরণ (Bhangar Blast)।ঝলসে আহত অন্তত ১০। বোমা বাঁধতে গিয়ে চালতাবেড়িয়ায় বিস্ফোরণ, অন্তত ১০জন আহত। বিস্ফোরণে আহতরা আইএসএফ কর্মী (ISF Worker), দাবি স্থানীয় সূত্রে। আহতদের কলকাতায় আনার সময় বাসন্তী হাইওয়েতে আটক। বাসন্তী হাইওয়ের কাঁটাতলায় আহতদের আটকাল পুলিশ (Police)।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোট সন্ত্রাসে ইতিমধ্যেই নিহতের সংখ্যা বহু। তার উপর বোমা বাধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু, তেইশ সালের অন্যতম মর্মান্তিক ইস্যু। কারণ শুধুই পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ, মনোনয়ন পেশ কিংবা গণনার সময়েই নয়, কয়েকমাস আগেও ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে একের পর এক মৃত্যুর পর অনেকটাই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসন। যার কোপ পড়েছিল সাধারণ বাজি ব্যবসায়ীদের উপর। রাতারাতি অবৈধ বাজি কারখানাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।


তবে রাজনৈতিক ইস্যুতে, এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া, মুর্শিদাবাদে বোমা উদ্ধারের ঘটনা বছর দুই আগেও বারবার এসেছে। কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা উদ্ধারের ঘটনা যেনও অনেকটাই অফুরান্ত। এযেনও শেষ হয়েও হইল না শেষ। কোথায় আস্ত বোমা, কোথায় বারুদ, কোথাও আবার খোদ প্রার্থীর বাড়ি থেকেই অন্যান্য বিস্ফোরকের অন্যান্য রাসায়নিক উদ্ধারের ঘটনাও সামনে এসেছে।


প্রসঙ্গত, মুড়ি মুড়কির মতো গুলি, পরপর মৃত্যু ঘটে গোটা রাজ্য জুড়ে। ভোট ঘোষণার পর থেকে যে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছিল, গণনার দিনও তা অব্যাহত ছিল ভাঙড়ে। ভাঙড়ে হাড়হিম করা সন্ত্রাস আজও অব্যহত। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ISF কর্মী হাসান মোল্লা, ISF কর্মী রেজাউল গাজি এবং নিরীহ ভোটার রাজু মোল্লার।ভাঙড়ে পঞ্চায়েত মনোনয়নের দিন থেকেই ঝামেলা শুরু হয়। সেই মৃত্যু মিছিল এখনও বন্ধ হয়নি। গণনার মধ্য়েও ভাঙড়ে মৃত্যু মিছিল দেখা যায়।


আরও পড়ুন, হাওড়ায় TMC-র বিজয় মিছিলকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোতল নিক্ষেপ, আহত একাধিক


অপরদিকে, সম্প্রতি এই মর্মান্তিক ঘটনার পর বড় প্রশ্ন তুলেছিলেন মৃত ISF কর্মী রেজাউল গাজির দিদি,' টিএমসির লোকে গুলি করেছে। আরাবুলের লোক, আরাবুলের ছেলে গুন্ডাবাহিনী, সওকত গুন্ডাবাহিনী এনে পুলিশের ড্রেস পরে গুলি করেছে। পুলিশ ছিল। পুলিশ সঙ্গে ছিল। না হলে পুলিশের ড্রেসটা পরল কী করে? একটা গুন্ডা হয়ে পুলিশের ড্রেস পরে কী করে? ' এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ হন জেলা পরিষদের ৮৩ নম্বর আসনের ISF প্রার্থী জাহানারা খাতুন, তাঁর স্বামী ও বেশ কয়েকজন কাউন্টিং এজেন্ট।