উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) ব্যালট খেয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি (TMC Candidate Mahadeb Mati )। মূলত এমনই অভিযোগ তুলেছিল বামেরা। আর এবার সেই মহাদেবেরই জেলায় আরও বড় এক কামাল দেখালেন এবার এক মিষ্টি কারিগর। 'ব্যালট মিষ্টি' বানিয়ে তাক লাগাল সেই অশোকনগরের (Ashoknagar) এক মিষ্টির দোকান।


 'ব্যালট মিষ্টি'


বাঙালির শয়নে স্বপনে মিষ্টি। কড়া পাকের সন্দেশ, কখনও মাছ সেজে ওঠে কাগজের নৌকায়। মূলত বিবাহের মতো শুভকাজে যার উপস্থিতি না থাকলেই নয়, তাহলে গণতন্ত্রের উৎসবে নয় কেন ? আজ্ঞে হ্যাঁ, যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। অশোকনগরের এক মিষ্টি বিক্রেতা এবার বানিয়ে ফেললেন 'ব্যালট মিষ্টি।' তবে এই কাজ উসকে দিয়েছে মূলত পঞ্চায়েত ভোটে ঘটে যাওয়া এবারের অন্যতম ঘটনা। কারণ, অশোকনগরে যে গণনা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি ব্যালট খেয়েছিলেন, তার ঠিক কাছেই যে ওই মিষ্টির দোকানটি অবস্থিত। আর সেখানেই এবার তৈরি হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের মতোই অবিকল ব্যালট অবয়বের মিষ্টি । যিনি বানিয়েছেন, তাঁর নাম কমল সাহা। ভোটের সময়ও তিনি নানারকম প্রতীকি মিষ্টি বানিয়েছিলেন, বলে জানা গিয়েছে।


উপরি পাওনা


প্রসঙ্গত, গণতন্ত্রের এই উৎসবে,  বিধানসভা হোক, কি লোকসভা ভোট, পাত পেড়ে খাওয়ার ছবি বছর বছরই উঠে এসেছে। আর সেই সঙ্গে উঠে এসেছে নানা অভিনব প্রচার। কখনও টুম্পা সোনা, অন্য রুপে অন্য লিরিকে, 'টুম্পা ব্রিগেড চলো' বামেদের স্লোগানে ধরা দিয়েছিল, কখনও আবার বিজেপির 'পিসি যাও' রব তুলেছিল। ডিজে মিউজিকে তখন ঝড় তুলছিল তৃণমূলের 'খেলা হবে।' তবে এবার প্রচার নয়, পঞ্চায়েত ভোটের শেষে , শেষ পাতে বাড়তি আনন্দ নিয়ে এল 'ব্যালট মিষ্টি' বাংলায়।


আরও পড়ুন, 'এইভাবে জিততে চাইনি আমি', কেঁদে ফেলেন তৃণমূল প্রার্থী রেশমী


 'ব্যালট খেয়ে ফেলেছিলেন মহাদেব'


মূলত, পঞ্চায়েত ভোটের গণনার মাঝে আচমকাই বাকরুদ্ধ করা কাণ্ড ঘটনা ঘটেছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। '৪ ভোটে জিতছিলাম', এমনটাই দাবি তুলেছিলেন হাবড়ার ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম (CPM) প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। এরই মাঝে অবাক করা ঘটনা ঘটেছিল অশোকনগরে। হার এড়াতে হঠাৎই টেবিল থেকে বেশ কয়েকটি ব্যালট নিয়ে খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল সেদিন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটির বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি ছিল, 'বিজেপি ভোট গণনায় কারচুপি করার চেষ্টা করছিল, তাই ওঁদের হাত কামড় ধরি। ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। আমি ৪৬ ভোটে জিতেছি।'