কলকাতা: রাজ্যে ভোট সন্ত্রাস ঘিরে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু, রাজ্যে ৩৫দিনে ভোটের বলি ৪৭। আর হিংসা-মৃত্যুর এই পরিসংখ্যানের মাঝেই এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এদিন বলেন, 'বিক্ষিপ্ত ঘটনায় কয়েকজন মারা গেছে, আমি দুঃখিত।'
'আমরা কী অপরাধ করেছি?'
এদিন মমতা স্পষ্ট করেন, 'আমরা কী অপরাধ করেছি? বিরোধী থাকার সময় শুধু মার খেয়েছি। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিদ্বেষমূলক মনোভাব। আমি অপরাধ করলে শাস্তি দিন, মেনে নেব, কিন্তু এত মিথ্যে!'সমালোচনা-কুৎসা করে শক্তি বাড়িয়েছে বিরোধীরা, এজন্য ধন্যবাদ। আমি সারাজীবন শান্তি নিয়ে কলম ধরেছি। পঞ্চায়েতের ফল বেরিয়েছে, অপরাধ করলে মেনে নেব।' এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো প্রশ্ন তুলে বলেন, 'ভাঙড়, ডোমকলে আমাদের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, আমরা তো জিতিনি। ৭১ হাজার বুথে ভোট হয়েছে, বড়জোর ৭টা বুথে বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল ঘটানো হয়েছে। যে ভোট নষ্ট করেছে, পুকুরে ব্যালট বাক্স ফেলছে, কেন গ্রেফতার হবে না?'
মুড়ি মুড়কির মতো গুলি, পরপর মৃত্যু
প্রসঙ্গত, মুড়ি মুড়কির মতো গুলি, পরপর মৃত্যু।দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা-সহ একাধিক জেলায় ভোট সন্ত্রাসে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভোট ঘোষণার পর থেকে যে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছিল, গণনার দিনও তা অব্যাহত রইল ভাঙড়ে। ভাঙড়ে হাড়হিম করা সন্ত্রাস। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ISF কর্মী হাসান মোল্লা, ISF কর্মী রেজাউল গাজি এবং নিরীহ ভোটার রাজু মোল্লার।ভাঙড়ে পঞ্চায়েত মনোনয়নের দিন থেকেই ঝামেলা শুরু হয়। সেই মৃত্যু মিছিল এখনও বন্ধ হয়নি। গণনার শেষ পর্যায়ে এসেও গন্ডগোল। গণনার মধ্য়েও ভাঙড়ে মৃত্যু মিছিল।
আরও পড়ুন, জয়ী BJP প্রার্থীদের অসমের গোপন ডেরায় নেওয়ার উদ্যোগ !
বড় প্রশ্ন তুলেছেন নিহতের পরিবার
অপরদিকে, বড় প্রশ্ন তুলেছেন মৃত ISF কর্মী রেজাউল গাজির দিদি,' টিএমসির লোকে গুলি করেছে। আরাবুলের লোক, আরাবুলের ছেলে গুন্ডাবাহিনী, সওকত গুন্ডাবাহিনী এনে পুলিশের ড্রেস পরে গুলি করেছে। পুলিশ ছিল। পুলিশ সঙ্গে ছিল। না হলে পুলিশের ড্রেসটা পরল কী করে? একটা গুন্ডা হয়ে পুলিশের ড্রেস পরে কী করে? ' এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ জেলা পরিষদের ৮৩ নম্বর আসনের ISF প্রার্থী জাহানারা খাতুন, তাঁর স্বামী ও বেশ কয়েকজন কাউন্টিং এজেন্ট।