কলকাতা: বেঙ্গালুরুতে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠককে কটাক্ষ করে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কটাক্ষ করে বলেন, 'বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি।'


শুভেন্দু এদিন বিরোধী বৈঠক প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে বলেন,' কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড-লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই ? কী রাজনীতি রে ভাই ! পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার শাসকদলের তাণ্ডব আটকাতে প্রাণ দিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। তাঁদের মৃতদেহকে উপেক্ষা করছে এই সুবিধাবাদী জোট। বহু আহত কর্মী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে কী যুক্তি দেবেন নেতারা ? সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের (CPM and Congress Worker) প্রতি আমার করুণা হচ্ছে। নেতারাই তাঁদের পিঠে ছুরি মারলেন।'


বাংলার ভোটে হিংসা, বেঙ্গালুরুতে সনিয়া-মমতা-ইয়েচুরি। নেপথ্যে জাতীয় রাজনীতির ব্যাখ্যা। সেটিংয়ের অভিযোগে বাম-কংগ্রেস কর্মীদের একসঙ্গে লড়ার ডাক শুভেন্দুর। প্রসঙ্গত, মিশন ২০২৪, পাটনার পর বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের মেগা বৈঠক। আর ঠিক তখনই একই দিনে  দিল্লিতে ৩৮টি দল নিয়ে এনডিএ-র বৈঠক। থাকবেন মোদি। 


গতকাল বিরোধীদের সৌজন্য বৈঠক, আজ বিশদে আলোচনা। প্রস্তুতি বৈঠকে সকলকে দেওয়া হয় বিরোধী জোটের অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির খসড়া। প্রস্তুতি বৈঠকে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির খসড়া, আজ হবে চূড়ান্ত। বিরোধী মহাজোটের নতুন নামকরণ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা, আজ ঘোষণার সম্ভাবনা। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে, খবর সূত্রের। ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে কমিটি গড়ার কথা আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা, খবর সূত্রের।


বিরোধী জোট নিয়ে গতকাল টুইটে তোপ দাগতে ছাড়েননি অমিত মালব্য। তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোটে ৫০-এর বেশি প্রাণহানি, তালিকায় কংগ্রেস কর্মীরাও। রাহুল গাঁধী কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হবেন? এত মৃত্যুর জন্য রাহুল কি অনুশোচনা করবেন, নাকি আত্মসমর্পণ করবেন? এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নিয়ে রাহুলের নীরবতা তাঁর কাপুরুষতা ও সুযোগ সন্ধানী রাজনীতির উদাহরণ', ট্যুইট বাংলায় বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর (Amit Malviya)।


আরও পড়ুন, আগ্রা-সহ একাধিক শহরে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ল, কী দর কলকাতায় ?


প্রসঙ্গত, এর আগে বিরোধী বৈঠক থেকে  বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 'বিজেপি একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে', বলে আক্রমণ করেছিলেন সেবার মমতা। তিনি বলেছিলেন, 'বাংলায় প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হচ্ছে, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই পালিত হয়েছে। কিছু বললেই সিবিআই-ইডি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা হওয়া উচিত নয়। অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে, দলিত, মহিলাদের ওপর অত্যাচার, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ, এগুলো নিয়ে কোনও চিন্তা নেই বিজেপির', আক্রমণে মমতা।