নদিয়া: নদিয়ার ধানতলায় ভোট-হিংসার (Panchayat Post Poll Violence) শিকার তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী (TMC Candidate)। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ পরাজিত নির্দল প্রার্থীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।


অভিযোগ, গতকাল রাত ২টো নাগাদ তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একটি ঘর ও মোটরবাইক ভস্মীভূত। তৃণমূলের দাবি, ভোটে হেরে গিয়ে নির্দল প্রার্থী এই কাজ করিয়েছেন। নির্দল প্রার্থীর পাল্টা দাবি, আদালত পুনর্গণনার আবেদনে সাড়া দেওয়ায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। 


পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) শেষ হলেও ভোটের সন্ত্রাস অব্যাহত। কোথাও জয়ী প্রার্থীর সার্টিফিকেট কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কোথায় আবার গভীর রাতে ঘুম ভেঙে নিজের বাড়ি হিংসার আগুনে জ্বলতে দেখছেন প্রার্থীরা। ভোটের আবহে প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগও কম নয়ষ অর্থাৎ সব মিলিয়ে এখন হিংসার আক্রমণ আর প্রার্থী পর্যন্তই থেমে নেই, তা ছড়িয়েছে পরিবার অবধি। আর এবার আরও এক ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে। 


বিজেপি কর্মীর বাড়ির পাশের ঝুপড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল এবার খেজুরিতে। 'তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীর' বিরুদ্ধে এই ভয়াবহ অভিযোগ এনেছে বিজেপি। টিকাশী অঞ্চল তৃণমূলের দখলে যাওয়ায় সারা অঞ্চল জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের এক কর্মী খবর অনুযায়ী অভিযোগ, নিজের বাড়িতে অপর তৃণমূলের গোষ্ঠী বাড়িতে আগুন দেয়। এবং পরে সেটা চটজলদি রাজনৈতিক আসরে নামে খোদ নেতারাই। 


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাওড়ার আমতা জয়পুরে দুই বিজেপির প্রার্থীর (BJP Candidate) বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির সমস্ত কিছু। ঘটনাটি ঘটে আমতা বিধানসভার জয়পুর থানার দক্ষিণ কাঁকরোল গ্রামে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়।


আরও পড়ুন, ২৪ ঘণ্টা পার হতেই ফের 'ব্যালট' উদ্ধার, হুগলির পর এবার নদিয়া


জুলায়েই শুরুতেও রাজ্যপালের কোচবিহার সফরের সময় এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। দিনহাটার ওকরাবাড়িতে কংগ্রেস প্রার্থী জহিরুল মিয়ার বাড়িতে বোমাবাজির (Bomb Blast) অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। বোমা ছোড়ার ফলে একটি ঘরে আগুন ধরে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছিল।