কলকাতা: রাজ্যের জেলায় জেলায় সবুজ ঝড়। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে, বাংলার মা-মাটি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'গ্রাম বাংলায় পুনরায় বিকশিত জোড়াফুল..।' তবে এই সবুজ ঝড়ের মাঝেই নিয়ম ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এমনকি দলের অন্দরে থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তবে বেলাশেষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই সবুজ ঝড়কে আমল দিতে অরাজি। শুভেন্দু স্পষ্ট করেছেন, 'কেন্দ্রীয় নেতারা এটা নিয়ে ভাবিত নন, কারণ এটা জনমত নয় সবাই জানেন।'


পঞ্চায়েত ভোটেও তৃণমূলেরই জয়জয়কার। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ, তিন স্তরেই বিরোধীদের অনেক পিছনে ফেলে, জয়ের পতাকা ওড়াল শাসক দল। তবে ভোট গণনার দিনেও সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এদিন শুভেন্দু বলেন,' প্রশাসনের সঙ্গে মানুষ কীভাবে লড়বে। এটা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নয়। এবারের নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি আসন তৃণমূলের পাওযার কথা নয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়ায় বিজেপির জয় হত। রাজ্যের পুলিশ কার্যত খোলাখুলি সমর্থন করল। আদালতে আমাদের লড়াই চলবে। বহু কাউন্টিং এজেন্ট বাড়ি ফিরতে পারছেন না ভয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ দু-তিনবার ফোন করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা এটা নিয়ে ভাবিত নন, কারণ এটা জনমত নয় সবাই জানেন।'


অপরদিকে, এদিন শাসকদলের হয়েও দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক  ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। তিনি বলেন 'এরকম রক্তাক্ত করে জিতে কী হবে। জেতার জন্য খুন, লুঠ, পুলিশকে ব্যবহার করা যায় না।'  পঞ্চায়েত ভোটের গণনায় (Panchayat Election Counting) নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে সরব সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammad Salim)। গোটা বাংলায় যখন সবুজ ঝড়, ঠিক তখন গণনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। আদৌ কি বামদের পক্ষে দেওয়া ব্যালট পেপারগুলি, গণনার টেবিল পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছে  ? নাকি সেগুলি রাস্তায় লুটোপুটি খাচ্ছে ? এমন কি গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোকপাত করলেন মহম্মদ সেলিম। 


আরও পড়ুন, 'সিপিএম জিতলেই ৩-৪ বার কাউন্টিং..', নিয়ম লঙ্ঘন নিয়ে বিস্ফোরক সেলিম


তিনি বলেন, 'এমএলএ-রা বসে আছেন গণনাকেন্দ্রে ! জেতা প্রার্থী, তাঁর সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে না। শংসাপত্র দিয়ে দিয়েছে, তারপরেও কেড়ে নিচ্ছে। ছিনতাই করে নিচ্ছে। সিপিএম যেখানে জিতছে, সেখানে রিকাউন্টিংয়ের নাম করে ৩ থেকে ৪ বার কাউন্টিং করা হচ্ছে। তারপরে ব্যালট সই করা- গোছা গোছা, যা যেখানে গুজে দিয়েছে !'