কলকাতা: বছরটা ছিল ২০২২। গতবছরই গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলায় জেরবার হয় শাসকদল। আর গতবছরই ডিসেম্বর ডেডলাইন দিয়েছিল বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব সুকান্ত-শুভেন্দুরা। অর্থাৎ মমতার সরকার পড়ে যাবে, এই ভবিষ্যতবাণী দেওয়া হয়েছিল। তবে শাসকদলের একের পর এক হেভিওয়েট গ্রেফতার হলেও, ডিসেম্বর ডেডলাইন বাস্তবে ঘটেনি। আর চলতি বছরের লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল পঞ্চায়েত ভোটেও সবুজ ঝড়। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে, 'আগামী ৫ মাসের মধ্যে রাজ্যে তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে', বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur)।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'বাংলায় শাসকদল যে ভাবে পঞ্চায়েত ভোট করিয়েছে, তাতে গণতন্ত্র চলতে পারে না। তৃণমূল সন্ত্রাস না করলে বিজেপি ১০ গুণ ভোট পেত। এরা ভেবে নিয়েছে এরা চিরস্থায়ী। কিন্তু এরা চিরস্থায়ী নয়, আগামী ৫ মাসেই এদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।' প্রসঙ্গত, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মুখে একাধিক বার শোনা গিয়েছিল 'ডিসেম্বর ডেডলাইন'-এর হুঁশিয়ারি।


শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলের গলাতেই শোনা গিয়েছিল ডিসেম্বরের হুঁশিয়ারি। তৃণমূল সরকারের পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছিলেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'ছ'মাস তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না৷ তার আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে ঝাঁপ গুটিয়ে যাবে তৃণমূলের।'


সুকান্ত এর আগে বলেছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তার একটাই কারণ, সেটা হচ্ছে বিজেপি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিন্তাতেই রাখব। চিন্তার কিছু নেই। ডিসেম্বর হোক, জানুয়ারি হোক, ফেব্রুয়ারি হোক, ঠান্ডাও পড়বে, সরকার কাঁপবে।' দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, 'ভোট হয়ত নেই এখন। তবে ডিসেম্বরের পরে হতেও পারে। বিধানসভার ভোটটা হতে পারে আবার। এই সরকারের কোনও ভরসা নেই। পদ্মপাতায় জলের মতো। এই আছে, এই নেই।'


আরও পড়ুন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমল দেশের একাধিক শহরে, কী দর কলকাতায় ?


যদিও সেসময় চুপ থাকেননি কুণাল -মদন। শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে মদন বলেছিলেন,'শুভেন্দু যেই ডেডলাইন দিল, সঙ্গে সঙ্গে কেরলে আমেরিকার নৌবহর, কাতার-আমেরিকার নৌবহর, বিভিন্ন দেশের নৌবহর, এমনকি পুতিন-জেলেনস্কি থমকে গিয়েছিলেন। শুভেন্দুর ডেডলাইন বলে কথা।' তবে দেখতে দেখতে বাইশের ডিসেম্বর পেরিয়ে আরও একটা ডিসেম্বর আসার অপেক্ষায়। বিজেপি নেতাদের ভবিষ্যতবাণী কি আদৌ ফলবে ? রাজনৈতিক চাপোনউতোরের মাঝেই প্রশ্ন তুলছে পরিসংখ্যান।