শুভেন্দুর ডেডলাইন:
বাংলার রাজনীতিতে ফের ফিরল 'ডেডলাইন'। বুধবার পটাশপুরের সভা থেকে এবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকারকে ৩ মাসের 'ডেডলাইন' দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভায় বক্তব্য় রাখতে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, '৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে। লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির আসন ১৮ থেকে ৩৬ করব।' বিরোধী দলনেতার দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে মানুষ নেই। পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করাই বিজেপির অঙ্গীকার।' কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া নিয়ে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক। সেই নিয়ে এদিন মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, 'আমরা টাকা আটকাইনি, চুরি আটকেছি। মানুষকে প্রকল্পের টাকা না দিয়ে টাকা চুরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। চায়ের দোকান, সাইকেলের দোকান ছিল সেই সুশান্ত এখন ২০০ কোটি টাকার মালিক। আবাস থেকে শৌচালয়ের টাকা চুরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল আমলে সর্বস্তরে দুর্নীতি। আর বেশি দিন বাকি নেই তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের।'
হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতাও:
গতকাল মালবাজারের জনসভা থেকে হুঙ্কার দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, '১২০০ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল। সব বন্ধ করলেও মুখ বন্ধ করতে পারবে না। বিজেপির আয়ু আর মাত্র ৬ মাস। আগামীবছর লোকসভা নির্বাচনে দেশ থেকে ধুয়ে যাবে বিজেপি।'
নকল ব্যালট পেপারের অভিযোগ:
নকল ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে। সেই ব্যালট পেপার বুথ থেকে স্ট্রং রুমে যাওয়ার পথে বদলে দেওয়া হবে। বাংলায় এক সাংঘাতিক কারচুপির খেলা খেলতে চলেছে তৃণমূল। বিস্ফোরক দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।
কোথায় কত বাহিনী:
২২ কোম্পানির পর আরও ৩১৫ কোম্পানির নিশ্চয়তা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে আসবে? সূত্রের খবর, কমিশনকে এখনও কিছু জানায়নি কেন্দ্র। প্রয়োজনীয় বাহিনী না পেলে ভোটের দফা কি বাড়বে? দফা বাড়ানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। ১১ জেলায় পাঠানো হচ্ছে সিআরপিএফ, ৬ জেলায় আসছে সিআইএসএফ, ৯ জেলায় আসছে বিএসএফ। দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও নদিয়ায় সিআরপিএফ পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
বাহিনী নিয়ে শুধুই টানাপড়েন:
ভোটের বাকি ১০দিন, এখনও বকেয়া কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শুধুই টানাপড়েন। 'কোথায়, কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন, বুথে ব্যবহার নাকি, অন্য কাজে পাঠানো হবে, জানায়নি কমিশন। শুধু কোন জেলায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, তার তালিকা দেওয়া হয়েছে।' রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ কেন্দ্রের। 'কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিবহণ, থাকার জায়গা নিয়েও মেলেনি মুখ্যসচিবকে দেওয়া চিঠির জবাব', কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টে কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রের। 'কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে, জবাবও দিয়েছে কেন্দ্র', স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। 'কেন্দ্রের নোডাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না কেন?' বৈঠক করে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিন, বললেন প্রধান বিচারপতি। 'বারবার হস্তক্ষেপ করতে চাই না, কিন্তু এমন পরিস্থিতি, হস্তক্ষেপ করতেই হচ্ছে। আমরা বিরক্ত, ছোটখাটো সব হিসেব করার জন্য আমরা বসে নেই', কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশন-কেন্দ্র সংঘাতের আবহে মন্তব্য ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের।
আরও পড়ুন: জীবনজুড়ে জঙ্গল, কলমজুড়ে প্রেম! টপ্পায় বুঁদ করতেন 'ঋজুদা' বুদ্ধদেব