রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ভোট (Panchayat Election) মিটলেও মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে থামছে না সন্ত্রাস। আজ সকাল থেকে হিরানন্দপুরে নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের বচসাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দফায় দফায় বোমাবাজি। এলাকায় একের পর এক বোমা পড়ছে। থলে ভর্তি বোমা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এদিক-ওদিক থেকে উড়ে আসছে আধলা ইট।আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। গন্ডগোলের খবর পেয়েও গ্রামে ঢুকতে পারেনি সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।                                         


সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের স্ট্রংরুম। বহরমপুর গার্লস কলেজের স্ট্রং রুমে গভীর রাতে এসে পৌঁছয় একের পর এক ব্যালট বাক্স। নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। ১১ তারিখ এখান থেকেই ভোট গণনার কাজ শুরু হবে। গতকাল ভোটের দিন মুর্শিদাবাদ জুড়ে সন্ত্রাসের ছবি দেখেছে গোটা বাংলা। কোথাও ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়া হল। কোথাও আবার ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ব্যালট বাক্স ফেলা হল পুকুরে। কোনও বুথে চলল দেদার ছাপ্পা। সেই সন্ত্রাসের আবহেই যে কটি ব্যালট অক্ষত অবস্থায় বহরমপুর গার্লস কলেজের স্ট্রংরুমে এসে পৌঁছয়, সেগুলিকে কড়া পাহারায় রাখা হয়েছে।                                          


অন্য জেলাতেও একই পরিস্থিতি? 


ভোটপর্ব মেটার পরেও মিটছে না সন্ত্রাস। কোচবিহারে গতকাল থেকেই ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এসে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন কোচবিহারের জেলা পার্টি অফিসে। ভোট-সন্ত্রাসে আহত দিনহাটার এক বিজেপি কর্মীকেও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। সিতাই থেকে পালিয়ে জেলা পার্টি অফিসে এসে উঠেছেন বিজেপির মহিলা কর্মীরাও। রাজনীতির পাকেচক্রে স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত। ঘরে ফিরবেন কবে, আদৌ ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে কোচবিহারের বিজেপি কর্মীরা। 


মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ভোট-পরবর্তী হিংসা। আক্রান্ত ডিএসপি ট্রাফিক বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর থেকে ভোটের ডিউটি সেরে ফেরার পথে বস্তা এলাকায় তাঁর গাড়িতে হামলা হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বড় বড় পাথর। গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পাথরের আঘাতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান DSP ট্রাফিক বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারা হামলা চালাল খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন, নতুন রঙে সাজছে বন্দে ভারত! দ্রুত গতির ট্রেনে এবার পতাকার ছোঁয়া?