কমলকৃষ্ণ দে ও মুন্না আগরওয়াল: মনোনয়ন পর্বে অশান্তি, হিংসা দেখেছে বাংলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগেও চরমে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের হটিয়ে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠছে। সেই আবহেই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কয়েকটি আসনে ভোটগ্রহণের আগেই জয় পেল সিপিএম এবং বিজেপি (CPM-BJP)।  রায়নায় দু'টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দু'টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে সিপিএম। গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একটি আসন গেছে বিজেপি-র ঝুলিতে।


দুই ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ-বাঁকুড়া, একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে ভোটগ্রহণের আগেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। এবার কিছু আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল বিরোধীরাও। পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় দু'টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দু'টি আসনে ফল ঘোষণার আগেই জয়ী হয়েছে সিপিএম। এর মধ্যে একটি হল পাইটা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানে একটি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল এবং বিজেপি। 


শ্যামসুন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় সেখানেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে সিপিএম। পূর্ব বর্ধমানে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "যদি নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন তাহলে লুটেরাদের হটিয়ে জনগনের পঞ্চায়েত গঠনের যে আওয়াজ গ্রামে গ্রামে উঠেছে,তাতে তৃণমূল কোনও প্রার্থীই পেত না।"


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: “বিধানসভার চেয়েও ভোট বাড়বে তৃণমূলের”, পঞ্চায়েত নিয়ে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ অভিষেকের


কী কারণে ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারেনি তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন দলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। সিপিএম-এর জয়ে যদিও তৃণমূলের সঙ্গে লাল শিবিরের আঁতাত দেখছে বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানে গেরুয়া শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "সিপিএম-কে দিয়ে তৃণমূল পেশ করছে। বাংলায় বিজেপি-কে আটকাতেই এমন করা হচ্ছে।"


একই ভাবে উলটপুরাণের ছবি ধরা পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরেও।  গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একটি আসন গেছে বিজেপি-র ঝুলিতে। তৃণমূল প্রার্থীর নাম স্ক্রুটিনিতে বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন
বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদেরই আধিপত্য থাকবে বলে আশাবাদী দক্ষইণ দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। 


২০১৮-র নির্বাচনে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবারের পঞ্চায়েতে কিছু আসনে ভোটের আগেই জয়ের স্বাদ পেল বিরোধীরাও।