সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: আর চার দিনের মাথায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023)। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে চারিদিকে। তার জেরে এই মুহূর্তে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। কিন্তু এসবের মধ্যেই দুশ্চিন্তার ছায়া বাস (Bus Owners) এবং পেট্রোল পাম্পের(Petrol Pump Owners) মালিকদের চেহারায়। তাঁদের একাংশের দাবি, গতবার নির্বাচনের কাজে যে বাস দিয়েছিলেন, তার লক্ষ লক্ষ টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে। অন্য দিকে, অগ্রিম না দিলে জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না, বলে সুর চড়িয়েছেন পেট্রোল পাম্পের মালিকরাও। (WB Transport Department)
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর যাও বা পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে লাগাতার হিংসা, মৃত্যু,কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো নিয়ে চাপানউতোর চলছেই।তার মধ্যেই এবার নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে সুর চড়ালেন বাস এবং পেট্রোল পাম্পের মালিকরা। বাস মালিকের একাংশের দাবি, নির্বাচনের কাজে বাস ভাড়া দিলে, যে টাকা দেওয়া হয়, তার চেয়ে খরচ বেশি হয়। তার উপর গতবার নির্বাচনের কাজে যে বাস দিয়েছিলেন, তারই লক্ষ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে সরকারের কাছে।
এবার ভোটের দিন ঘোষণা হতেই, বকেয়া মেটানো এবং ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন বাস মালিকরা। তবে তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এতবার বলেও কিছু হয়নি। আগের ভাড়া বকেয়া। পরিবহণ দফতর ভাড়া দেয়। আমরা বাস দিতে বাধ্য়। আমাদের পকেটের টাকা দিয়ে বাস দিতে হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: Alipurduar News: ভোট আসে, ভোট যায়, উন্নয়নের বুলি ছোটে, চা বাগানের বাতাসে মিশে রয়েছে শুধুই দীর্ঘশ্বাস
বাস মালিকদের সমস্যায় শরিক হয়েছেন পেট্রোল পাম্পের মালিকরাও। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে তারা জানিয়েছেন,
অগ্রিম না দিলে জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি প্রসেনজিৎ সেন বলেন, "গ্রামের দিকেও আছে। সমস্যা হবে বলে দিতে হত। তেল কোম্পানি বলেছে তোমাদের সমস্যা তোমরা দেখো। অগ্রিম দিচ্ছে অনেকে।"
বাস মালিকরা জানিয়েছেন, নির্বাচনের কাজে দেওয়া বাসপিছু ২৩০০ টাকা করে পান। এবারও তাতে কোনও বদল আসেনি। কর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার খরচ শুধুমাত্র ১৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। এ নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, "রিক্যুইজিশন কমিশন দেয়। ভাড়ার ব্যাপারে বাড়ানো হয়েছে।"
নির্বাচনের কাজে বাসের প্রয়োজন। মালিকদের দাবি, পকেটের টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে। অগ্রিম টাকা না দিলে জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না। দুই শ্রেণির ব্যবসায়ীরাই সঙ্কটে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।