পাইকর: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটাভুটির দিন এগিয়ে আসছে (Panchayat Elections 2023)। তার আগে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। সেই আবহে বীরভূমে গিয়ে জনগণকে তৃণমূলনেত্রী (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর (mamata Banerjee) আস্থা রাখার কথা বললেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad hakim)। তাঁর সাফ বার্তা, এই নির্বাচনে ভোট ভাগ হতে দেওয়া যাবে না। বিশ্বাস রাখতে হবে মমতার উপর। 


গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন নড়বড়ে বলে খবর আসছে। সেই আবহে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বীরভূমে কার্যতই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। শনিবার সেখানকার পাইকরে সভা করেন ফিরহাদ। বিজেপি-র বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও নিশানা করেন তিনি। দুই দলকে মীরজাফর বলে উল্লেখ করেন।


এদিন পাইকরের মঞ্চে ফিরহাদ বলেন, "টিকিট না পেয়ে কেউ কেউ অতৃপ্ত আত্মায় পরিণত হয়েছেন।মানুষের কাজ করতে টিকিট লাগে না। কিন্তু টিকিট না পেয়ে এঁরা টুকটুক করে হেঁটে গিয়ে বলছেন, 'আমাকে একটা সিপিএম-এর টিকিট দেবেন? একটা কংগ্রেসের টিকিট দেবেন?' তার মানে এঁদের কোনও নীতি-আদর্শ নেই। যখন যেমন, তখন তেমন। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী যা, তুমিও তা। আজ সিপিএম, কংগ্রেসের টিকিট চাইলে, বিপদে পড়ে বিজেপি-র টিকিটও চাইতে পারও কাল। এরা নীতীভ্রষ্ট।"


আরও পড়ুন: Firhad Hakim: ছেঁড়া কুর্তা নিয়ে কটাক্ষ দিল্লির ‘বিরাট নেতা’র, ‘দিওয়ারে’র শশী কপূর হয়ে উঠেছিলেন তিনি, স্মৃতিচারণ ফিরহাদের


ফিরহাদ জানান, তৃণমূলে ছোট-বড় বলে কিছু নেই। মমতার নেতৃত্বে বিশ্বাস রয়েছে সকলের। মমতা রয়েছেন মানে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নিশ্চিত ভাবে লড়াই সম্ভব। ফিরহাদের কথায়, "দিল্লিতে বার্তা যাবে, মমতার ক্ষমতা হালকা হয়ে গিয়েছেয আর ভোট নেই। সেই সময়ই বাংলাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তাই বলতে এসেছিল, একসঙ্গে থাকুন। সগর্বে বলুন, বাংলার মাটি, বাংলার জল...বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন, এক হোক, এক হোক, এক হোক। কেউ টিকিট পায়, কেউ পায় না। তৃণমূল কিন্তু মানুষের কাজ করে যাবে। তাই বলতে এসেছি, ভোট ভাগ করবেন না। রোশনি চাঁদ সে হোতি হ্যায়, সিতারোঁ সে নহি, মহব্বত এক সে হোতি হ্য়ায়, হাজারোঁ সে নহি। আমাদের কাছে ওহ্ এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বিশ্বাস রাখুন, তিনি কোনও অন্যায় করতে পারেন না। যারা গুন্ডামি করবে, পুলিশকে বলব শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা দেখুন। ভয় পাবেন না।"


দিল্লির এক 'বিরাট' নেতা তাঁকে তাচ্ছিল্য করেছিলেন বলেও দাবি করেন ফিরহাদ। বলেন, "দিওয়ার' ছবিটা দেখেছেন তো! অমিতাভ কী বলেছিলেন! 'মেরে পাস পয়সা হ্যায়, গাড়ি হ্যায়, বাংলো হ্যায়, তুমহারে পাস ক্যায়া হ্যায়?' উত্তরে শশী কপূর বলেছিলেন, 'মেরে পাস মা হ্যায়'। দিল্লির এক বিরাট নেতা আমাকে বলছিলেন, 'ববি হাকিম ফাটা পাঞ্জবি পরে ঘুরছে। আমাদের কাছে সিবিআই, ইডি, সিআরপিএফ, সিআইএসএফ আছে, শক্তি আছে, তোমার কাছে কী আছে?' আমি বলেছিলাম, আমার কাছে জনগণ আছে।"