তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: ভোটের (Panchayat Elections) ফল ঘোষণার পরদিনই, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী যোগ দিলেন তৃণমূলে (tmc)। বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়কের হাত ধরে শাসকদলে যোগ দিলেন অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির টিকিটে জয়ী প্রার্থী সলমা মুর্মু। ভয় দেখিয়ে দলবদল করানো হয়েছে, অভিযোগ বিজেপির। গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
যাঁকে জেতানোর জন্য় দিনরাত এক করে খেটেছিলেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা, শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, সেই বিজেপি প্রার্থীই কি না জেতার কয়েক ঘণ্টার মধ্য়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে (TMC)!
বুধবার সকালে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক তন্ময় ঘোষের হাত ধরে শাসকদলে যোগ দেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের অযোধ্য়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি আসনের মধ্য়ে, ৬টি দখল করে তৃণমূল। বিজেপি ৫টিতে জয়ী হয়। আর নির্দলের হাতে ১টি। ৪৯ নম্বর বুথ থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন সলমা মুর্মু।
তৃণমূলের প্রার্থীকে ১৭ ভোটে হারিয়ে দেন তিনি। কিন্তু, জয়লাভের কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই গেরুয়া শিবির ছেড়ে শাসকদলে নাম লেখান। বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগদানকারী সলমা মুর্মু বলছেন, আমি বিজেপিতে দাঁড়িয়েছিলাম। ৪৯ নম্বরে। আজকে তৃণমূলে যোগদান করছি। বিজেপিতে কাজকর্ম করতে পারব না, মানুষের জন্য়। এটার জন্য় তৃণমূলে যোগদান করেছি। তৃণমূলে কাজ করতে পারব। ওইজন্য়ই হাতটা মিলিয়েছি।
মঙ্গলবার, কালনায়, সিপিএমের হয়ে জিতে গণনাকেন্দ্রের মধ্য়েই তৃণমূলে যোগদান করেন কাকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী সিপিএম প্রার্থী গীতা হাঁসদা। আর এরপর দিনই, বিষ্ণুপুরে একই কাণ্ড। বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগদান।
পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই ফের শুরু হয়েছে দলবদলের হিরিক। কখনও সিপিএম থেকে শাসকদলে, কখনও আবার বিজেপি থেকে শাসকদলে যোগদান। ১১ জুলাই একাধিক এমন খাবর প্রকাশ্যে এসেছে। কালনায় গণনাকেন্দ্র থেকে দলবদলের যে সূচনা হয়েছিল, সেই ট্র্য়াডিশন আজও অব্য়াহত। গতকালই কাটোয়াতে তৃণমূলে যোগ দিলেন, আরও তিন জয়ী সিপিএম প্রার্থী। প্রত্যেকেই বলছেন, উন্নয়নের জন্যই তাঁরা শাসক দলে নাম লিখিয়েছেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, ভয় দেখিয়ে দলবদল করিয়েছে শাসকদল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন