লন্ডন: উইম্বলডনের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন ড্যানিল মেদভেদেভ ও কার্লোস আলকারাজ। আলকারাজ বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস তারকা। তিনি যে ম্যাচের ফেভারিট হিসেবেই কোয়ার্টার ফাইনালে নামবেন তা নিশ্চিত ছিলই। স্প্যানিশ টেনিস তারকা আলকারাজ ৭-৬(৭-৩), ৬-৪, ৬-৪ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেন ২০ বছরের তরুণ ড্যানিস টেনিস তারকা ষষ্ঠ বাছাই হোল্গার রুনকে। অন্য়দিকে ক্রিস ইউবাঙ্কসকে হারিয়ে দেন ২৭ বছরের মেদভেদেভ. পাঁচ সেটের লড়াই শেষে জয় ছিনিয়ে নেন রাশিয়ান টেনিস তারকা। আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৬-৪, ১-৬, ৪-৬, ৭-৬ (৭-৪), ৬-১। 


সেমিফাইনালে আলকারাজের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন মেদভেদেভ। ইউ এস ওপেন জিতেছেন ২ জনেই। কিন্তু উইম্বলডন ঝুলিতে পুরতে পারেননি কেউ এখনও। এবার তাই প্রথমবার উইম্বলডনের মঞ্চে জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া থাকবেন মেদভেদেভ। 


অন্য সেমিফাইনালে সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ ইতালির জ্যানিক সিনারের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন। 


অন্যদিকে মহিলাদের সেমিতে, রবিবার উইম্বলডনে (Wimbledon) মহিলাদের চতুর্থ রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা এবং ইউক্রেনের এলিনা সুইতোলিনা। সেই ম্যাচের পরেই দর্শকদের আচরণ নিয়ে দু’রকম মত প্রকাশ করেছেন দুই খেলোয়াড়।


তিন সেটে আজারেঙ্কার পরাজয়ের পর দর্শকেরা বিদ্রূপ করতে থাকেন। হতাশায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বেলারুশের খেলোয়াড়। ম্যাচের পর দর্শকদের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন তিনি। এমনকী, এও অভিযোগ করেছেন যে, মত্ত অবস্থায় খেলা দেখতে এসেছিলেন তাঁরা। আজারেঙ্কা বলেছেন, 'গত ১৮-১৯ মাস ধরে আমি এরকম ব্যবহার পেয়েই চলেছি। কিন্তু আমি তো কোনও ভুল করিনি। আমি তো যুদ্ধ করিনি। তবু এরকম আচরণ করা হয়। দর্শকদের নিয়ে নতুন করে আর কী বলব। একটা ভাল টেনিস ম্যাচ হল। যদি হাত মেলানো নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ক্ষোভ থেকে থাকে তা হলে কিছু বলার নেই। আমার মনে হয় অনেকেই মত্ত অবস্থায় খেলা দেখতে এসেছিলেন। ভীষণই লজ্জার ব্যাপার।'


ম্যাচের পর প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলাননি সুইতোলিনা। যিনি ইউক্রেনের খেলোয়াড়। ম্যাচে দর্শকদের আচরণ নিয়ে সম্পূর্ণ উল্টো কথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। বলেছেন, 'দর্শকাসনে ইউক্রেনের অনেকে ছিলেন। খুব ভাল লাগছে ওঁদের সামনে জিততে পেরে। আমার খেলা অন্যতম সেরা ম্যাচ এটা।' প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত না মেলানো নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। সুইতোলিনা বলেছেন, 'আমি আগেই বলেছি, রাশিয়া যত দিন না আমার দেশ ছেড়ে যাবে তত দিন আমি ওই দেশের কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাত মেলাব না। টেনিস সংস্থাগুলোরও উচিত এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়ে জানানো। যাতে রাশিয়া বা বেলারুশের কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে ইউক্রেনের খেলোয়াড়েরা করমর্দন না করে।'