কলকাতা : ভোট হিংসায় ( Panchayat Poll Violence )  নিহতদের পরিবারের কাছে পৌঁছে যাওয়া থেকে, রাজভবনে পিস রুম চালু করা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, নানা ভূমিকায় দেখা গেছে রাজ্য়পালকে ( C V Ananda Bose )। বৃহস্পতিবার আবার তাঁর মুখে শোনা গেল কমিশনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা।                                   

গন্তব্য মুর্শিদাবাদ


ভাঙড়ের বোমা বিছানো পথ থেকে, বারুদ-বিধ্বস্ত ক্য়ানিং, সন্ত্রাস-বিদ্ধ কোচবিহার থেকে, হিংসা কবলিত বাসন্তী, ভোট হিংসার খবর পেয়ে কখনও গ্রাউন্ড জিরোয় পৌঁছে গেছেন। এবার তাঁর গন্তব্য মুর্শিদাবাদ। 


আজ কোথায় কোথায় যাবেন


পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা-সন্ত্রাস মোকাবিলায় বারবার সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে রাজ্য়পালকে। দঃ ২৪ পরগনা, কোচবিহারের পর এবার মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন রাজ্যপাল। শুক্রবার সকালেই সন্ত্রাস বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সকালে কলকাতা স্টেশন থেকে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে চেপে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল। বহরমপুর, খড়গ্রাম, বেলডাঙা, ডোমকল যাওয়ার কথা রাজ্যপালের।  


পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভাঙড়। একদিনে ৩ জনের মৃত্য়ু হয়। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য়েই, সন্ত্রাস-বিদ্ধ ভাঙড়ে পৌঁছে যান রাজ্য়পাল। ঠিক এর পরদিন, অর্থাৎ, ১৭ জুন, শনিবার, ক্য়ানিংয়ে পৌঁছে যান রাজ্য়পাল। রাজভবনে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলেন তিনি।  এরইমধ্য়ে, গত রবিবার, কোচবিহারের গীতালদহে আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে দেখতে যান রাজ্য়পাল। রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ পেয়ে মাঝরাতেই নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ফোন করেন সিভি আনন্দ বোস। এর পরের দিন, বাসন্তীতে  যুব তৃণমূল কর্মীর খুনের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যান রাজ্য়পাল। এবার তিনি যাচ্ছেন অশান্ত মুর্শিদাবাদে। 


কমিশনকে রাজ্যপালের আক্রমণ


শুক্রবার কড়া ভাষায় রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। রাজ্য়ে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মৃত্য়ুমিছিল, সন্তানহারা মায়ের কান্না, তখন বেনজিরভাবে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনারকে আক্রমণ করলেন রাজ্য়পাল। কখনও টেনে আনলেন মহাভারতের প্রসঙ্গ, কখনও রবীন্দ্রনাথ, কখনও আবার শেক্সপিয়ারকে। তিনি বলেন, ' এই সমস্ত খুনের ঘটনা দেখলে শেক্সপিয়রও হয়ত বলতেন, নরক ছেড়ে সমস্ত শয়তানেরা এখানে ভিড় করেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মহাশয়, বাংলা আশা করে, আপনি আপনার কর্তব্য পালন করবেন। কিন্তু আপনি কি আপনার কর্তব্য পালন করেছেন?' 


শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের লাইনে দাঁড়াবে গ্রাম বাংলা। তাদের নিরাপত্তা যথাযথ থাকবে তো? প্রশ্ন অনেকেরই।