পার্থপ্রতিম ঘোষ, ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার স্বাস্থ্যের বেহাল পরিস্থিতি। ভাঙড়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই তার ছাপ স্পষ্ট। দেওয়ালে গুলির দাগ স্পষ্ট। ২ দিন বন্ধ থাকার পর, শনিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে তালাই খুলতে পারলেন না কর্মীরা। স্থানীয়দের চোখেমুখে এখনও স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ।
আইনশৃঙ্খলার স্বাস্থ্যের বেহাল পরিস্থিতি: মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার স্বাস্থ্য় যে মোটেও ভাল ছিল না, তা এই ছবিগুলি থেকেই স্পষ্ট। হাতে বাঁশ, লাঠি, মুখে কখনও কাপড়, কখনও মুখোশ, হাতে বোমা। আর ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার স্বাস্থ্য়ের এই বেহাল অবস্থার ছাপ পড়েছে মেলার মাঠের পাশের স্বাস্থ্য়কেন্দ্রেও। মঙ্গলবার এখানেই ভয়ঙ্কর বোমাবাজি হয়। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়ার পাশাপাশি চলে গুলিও। মাঠের ঠিক লাগোয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেওয়ালে গিয়ে লাগে গুলি।
এরপর, বুধবার, সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সকাল ১১ টা। মাত্র আধ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। কর্মীদের দাবি, এরপরই 'ওপরমহলের' নির্দেশে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ২ দিন বন্ধ থাকার পর, শনিবার তালা খুলতে যান কর্মীরা। কিন্তু সেই তালা খোলা যায়নি। কারণ, অশান্তির দিন, তালা ভেঙে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তালা না খোলা গেলেও আটকে যায় লক। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক কর্মী বলেন, “হেড অফিস থেকে বলেছিল সেদিন বন্ধ করে দিতে। তারপর থেকে এসে দেখছি আর তালা খুলছে না।’’
রাজায় রাজায় লড়াইয়ের জেরে বিপাকে উলুখাগড়ারা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘক্ষণ বসে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয় রোগীদের। এখনও তাঁদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। এই গোলাগুলি-বোমাবাজি কবে বন্ধ হবে? কবে নিশ্চিন্তে মানুষ ঘর থেকে বেরোবে? আরোগ্য় নিকেতনের দেওয়ালে গুলির ক্ষত কবে মুছবে? ভাঙড়ের এক বাসিন্দা বলেন, “২ দিন ধরে ঘরে বসে আছি। আজকে এসে দেখছি তালা খুলছে না। দিওয়ালির থেকেও বেশি ফাটছিল বাজি।''
আরও পড়ুন: Split Ends: স্প্লিট এন্ডস কী? চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে? রইল সহজ কিছু টিপস