কলকাতা: বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাসকাণ্ডে (Panchayat Poll Violence) আসছে কেন্দ্রীয় বিজেপির প্রতিনিধি দল (BJP's Fact Finding Team)। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা (JP Nadda) পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করবেন। প্রতিনিধি দলে থাকছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ, সত্যপাল সিংহ, রেখা বর্মা, রাজদীপ রায়।
মূলত, এর আগেও একাধিকবার রাজ্যে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আসতে দেখা যায়। এর আগে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড, বগটুই হিংসাকাণ্ড -সহ একাধিক ঘটনায় বিজেপির 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং' কমিটিকে আসতে দেখা যায় রাজ্যে। যদিও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কোনও বড় কোনও ঘটনা ঘটলেও অভিযান চালাতে দেরি করেনি তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। বাইশ সালে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ-এর প্রয়াগরাজে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। একই পরিবারের দুই বছরের শিশু সহ ৫ জনের গলা কেটে খুন করা হয়েছিল।
ধর্ষণে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলেই খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার পর সেবার যোগী রাজ্যে গিয়েছিল তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। আর এবারও সেই পথেই এগোল রাজ্যের শাসকদল। একদিকে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনায় যখন রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বিজেপির প্রতিনিধি দল, ঠিক তখনই বিজেপির 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং' টিমের পাল্টা মণিপুরে 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং' টিম পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মণিপুরে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে থাকবেন ডেরেক, কল্যাণ, কাকলি, দোলা সেন।
আরও পড়ুন, 'খোকাবাবুর কিছু হবে না, দিদি মোদিকে ম্যানেজ করতে জানে', মন্তব্য অধীরের
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Elections 2023) ঘিরে হিংসার গ্রাফ তির্যক। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভোট হিংসা (Panchayat Poll Violence) নিয়ে সরব হুমায়ুন, সৌগত-সহ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। কিন্তু কোথায় গিয়ে থামবে এই হিংসা ? প্রশ্নের উত্তর আসার আগেই বঙ্গে ৩৩ দিনে প্রাণ গেল ৪০ জনের। 'যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দেব' বলায় নৃশংসভাবে খুন হতে হয় বলে অভিযোগ। ভোটের দিনের সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন কেতুগ্রামের ভোটার।'তৃণমূলকে ভোট দিতে না চাওয়ায় পিটিয়ে, বোল্ডার দিয়ে থেঁতলে খুন'-র অভিযোগ উঠেছে।'যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দেব' বলায় বোল্ডার দিয়ে থেঁতলে খুনের ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে।তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। কেতুগ্রামের ওই ভোটারকে এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় এনআরএসে ভর্তি করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু ঘটে।