ভাঙড় : মনোনয়ন সন্ত্রাসের পর বিধ্বস্ত ভাঙড়ে শুক্রবার পৌঁছলেন রাজ্যপাল। বিডিও অফিসের সামনে নেমে পায়ে হেঁটে গেলেন বিজয়গঞ্জ বাজারে। বিডিও অফিসে গিয়ে কথা বললেন আধিকারিকদের সঙ্গে। কথা বললেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। গেলেন বিজয়গঞ্জ বাজারে মেলার মাঠে । দেখলেন পথে পড়ে বোমা। পুলিশ নয়, রাজ্যপালের নিরাপত্তার খাতিরে বোমা সরাতে হল সিভি আনন্দ বোসের নিরাপত্তারক্ষীদের। এরপর রাজ্যপালকে কাছে মনোনয়ন দিতে না পারার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখায় আইএসএফ।
ভাঙড়ের অবস্থা দেখে রাজ্যপাল বলেন, 'যে কোনও মূল্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। হিংসা বরদাস্ত করা হবে না, পদক্ষেপ করা হবে। ভাঙড়ের কিছু জায়গায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। কী ঘটেছিল জানতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি' ভাঙড়ে গিয়ে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।
সন্ত্রাসের পর আজ থমথমে ভাঙড়। বাতাসে বারুদের গন্ধ। এখনও ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জে রাস্তায় পড়ে রয়েছে বোমা। রাস্তায় পড়ে গুলির খোল, গুলির বাক্স । চারিদিকে তাণ্ডবের চিহ্ন, সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পোড়া গাড়ি। ৪ দিন ধরে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল ভাঙড়, বৃহস্পতিবারই ৩ জনের মৃত্যু হয় ভাঙড়ে। তারপরই রাজ্যপালের তরফে কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, ' এই শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত। শেষের শুরু পশ্চিমবঙ্গেই হবে। ' । কড়া বিবৃতি দিয়ে রাজ্য়পাল বলেন, ' পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই মৃতের সংখ্য়া যেভাবে বাড়ছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। নির্বাচনে জয় ভোটের গণনার ভিত্তিতে হওয়া উচিত, মৃতদেহের গণনার ভিত্তিতে নয়। গুন্ডা, দুষ্কৃতীদের দাপিয়ে বেড়াতে দেওয়া যাবে না। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ আক্রান্ত মানে, গণতন্ত্র আক্রান্ত, সাধারণ মানুষ আক্রান্ত, সংবিধান আক্রান্ত, নতুন প্রজন্ম আক্রান্ত। এই শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত। শেষের শুরু পশ্চিমবঙ্গেই হবে। '
আরও পড়ুন : ১৬ জুন পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত সব ব্রেকিং নিউজ পড়ুন এখানে
এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উনি এসেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়েছেন। যেখানে দুর্ঘটনা বা গোলমাল, সেখানে ছুটে গেছেন। বাসন্তী গিয়ে করমণ্ডল পীড়িতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। উনি খুব সেনসিটিভ। এটা দরকার আছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজে দেখেন। রাজ্যের মানুষ কীরকম আছে, নিজে দেখতে যান। উনি অত্যন্ত অ্যাক্টিভ। রাজ্যের মানুষ বিপদে পড়লে অন্ততঃ এই একটা লোকটাকে পাশে পাবে। '
রাজ্যপালের ভাঙড় যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বাংলার মানুষের মনোভাব বুঝতেই পারছেন না রাজ্যপাল।