কলকাতা : ভোটের আগে পরপর প্রাণহানি। কোচবিহারে বিজেপির ( BJP ) পোলিং এজেন্ট খুন। রেজিনগরে তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে খুন। বারাসাতে নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুন। আবার খুন খড়গ্রামে। এই পরিস্থিতিতে ট্যুইটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দুষল তৃণমূল। প্রশ্ন তুলল কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ?
ট্যুইটে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, 'শিউরে ওঠার মতো একের পর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে শকওয়েভ। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ, খড়গ্রামে ৩ দলীয় কর্মী খুন' ট্যুইট তৃণমূল কংগ্রেসের।
ডোমকলে গুলিতে ২ তৃণমূলকর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি। যখন প্রয়োজন তখন কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? ট্যুইটে প্রশ্ন তৃণমূলের। মানুষের নিরাপত্তা দিতে পাহাড়প্রমাণ ব্যর্থতার দিকে তা ইঙ্গিত করছে, ট্যুইট তৃণমূল কংগ্রেসের।
ভোটের দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।ভোট শুরু কয়েকঘণ্টা আগে থেকেই জেলায় জেলায় শুরু হয় বুলেটের দাপট। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজ্যের শাসকদলকে। বিরোধী দলনেতার ট্যুইট 'বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে 'রাক্ষসতন্ত্রে'র উদযাপন চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাড়াটে খুনি রাজীব সিন্হা তাঁর পরিকল্পনা কার্যকর করছেন। এটাই তাঁদের গণতান্ত্রিক মডেল।'
মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত ভোটের আগেও প্রাণহানি ঘটনা ঘটেছে। মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনে যে খড়গ্রামে প্রথম খুনের ঘটনা ঘটেছিল, সেই খড়গ্রামেই খুনের বদলা খুনের অভিযোগ উঠল ভোটের আগে রাতে খুন হলেন তৃণমূল সমর্থক। অন্যদিকে রেজিনগরে বোমা মেরে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে ভোট ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই প্রাণ গেল ৮ জনের। শুক্রবারই খড়গ্রামে পা রেখেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গিয়েছিলেন ৯ জুন নিহত, কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখের বাড়িতে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই খড়গ্রামে খুন হয়ে গেলেন তৃণমূল সমর্থক। নিহতের নাম সত্তরউদ্দিন শেখ (৫২)।
অন্যদিকে নদিয়ার চাপড়াতেও ভোটের বলি হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। কল্যাণদহে কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল। আহত হন আরও ৯ জন তৃণমূল কর্মী। ভোট দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল কর্মীদের এলোপাথাড়ি কোপ, হামলার অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে ভোটের বলি ২৬ ।