শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : পঞ্চায়েত ভোটের ( West Bengal Panchayat Poll ) ২ দিন আগে, কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় উত্তরপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এখানেই অশান্তির শেষ নয়। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেও উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারে। এবার আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মী। দিনহাটার ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২ কংগ্রেস কর্মীকে মারধর, ধারাল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠল।
'রাতের খাওয়া-দাওয়া চলাকালীন হামলা'
এই ঘটনায় হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, ভোটের আগে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে । শুক্রবার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাতের খাওয়া-দাওয়া চলাকালীন এই হামলা, অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থীর স্ত্রী-র।
টিকিট না পাওয়ায় কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়ছেন মুকুল
তৃণমূলের তরফ থেকে টিকিট না পাওয়ায় মুকুল রহমান এবার কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়ছেন। ২ আহতর নাম আরশাদ রহমান, রুমন রানা। একজনের আঘাত মাথায়, অন্যজনের পায়ে অস্ত্রের কোপ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ।
বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে হামলা
এর আগের দিনই একই ধরনের ঘটনা ঘটে দিনহাটায়। কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে, বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তোফাজ্জল আগে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটে দলের টিকিট না পেয়ে, পুঁটিমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ান। অভিযোগ, এরপর তৃণমূলের চাপেই বাধ্য় হয়ে মনোনয়ন প্রত্য়াহার করতে হন তিনি। এরইমধ্য়ে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তোফাজ্জলের। বুধবার রাতে, এলাকায় বিজেপির ভোট প্রচারে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের হয়ে, প্রচার করাতেই, তোফাজ্জলের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।
আক্রান্ত সিপিএম
এই মাসের শুরুতেই দিনহাটার বড় শৌলমারির ছিট মদনাকুড়া গ্রামে সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের দাবি, কয়েকদিন ধরেই তাদের প্রার্থী ফরিদা খাতুনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সেই মতো রাতে প্রার্থীর বাড়িতে জড়ো হন সিপিএম কর্মীরা। অভিযোগ, তখনই হামলা চালায় তৃণমূলের বাইক বাহিনী। বোমা ও তির ছোড়া হয়। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। তিরের আঘাতে আহত হন এক সিপিএম কর্মী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবিরাম হিংসা কোচবিহারে
গত শনিবার গীতালদহে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমানকে কোপানোর অভিযোগ ওঠে নির্দল প্রার্থীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েই, মাঝরাতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় রাজ্যপালকে। রাত ১২টা ৪৮ মিনিট নাগাদ, সোজা রাজীব সিনহাকে ফোন করেন রাজ্যপালের ওএসডি। যদিও তখন ফোনে পাওয়া যায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে।
ভোটের আর ২ দিন বাকি। এখনও অবিরাম হিংসা, সন্ত্রাস। কবে বন্ধ হবে এসব? উত্তর অজানা।