কলকাতা : আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফের চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এদিকে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মঞ্জুরের নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে ভোটের দফা বাড়ানোর দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিশানা করলেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চাপান উতোর অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফের চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এদিকে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মঞ্জুরের নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।প্রথম ধাপে ২২ কোম্পানি, পরের ধাপে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। এর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ৫০ কোম্পানি, বিএসএফ থাকবে ৬০ কোম্পানি, ২০ কোম্পানি আইটিবিপি, ২৫ কোম্পানি এসএসবি , ২০ কোম্পানি আরপিএফ আসছে রাজ্যে। ২০ কোম্পানি আরপিএফ মোতায়েন হবে রাজ্যে। বাকি ১২ টি রাজ্য থেকে স্পেশাল আর্মড পুলিশ ফোর্স থাকবে ১১৫ কোম্পানি।
তবে, বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, "যদি ২০১৩০-র মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট করতে হয় এবং গ্রামীণ বুথগুলোকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে হয়, দফা বাড়ানো ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। গতবারে ২০১৩-তে রাজ্য সরকারকে টাকা দিতে হয়েছিল। এবারে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, আমরা জোগান দিয়ে দেব। ইতিমধ্যে ৩১৫ কোম্পানির অনুমোদন রাজ্য সরকার পেয়ে গেছে। সমস্যাটা হচ্ছে রাজীব সিনহাকে নিয়ে । তিনি কিছুতেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছা-কথা-নির্দেশের বাইরে যেতে চাইছেন না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সরানো বা তার উপরে নজরদারি করার জন্য স্পেশাল অবজার্ভার নিয়োগ করা ছাড়া এর সমাধান হতে পারে না। কারণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের লোকেরাই আমাদের বলছে, আমরা কিছু জানি না। সঞ্জয় বনসাল, রাজীব সিনহা বসে সবটা করছেন। "
এদিকে হাইকোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। 'এখনও স্পষ্ট নয় কমিশনের পরিকল্পনা', মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, 'চাইলে আরও বাহিনীর জন্য আবেদন করতে পারবে কমিশন।' অন্যদিকে আদালতে কেন্দ্রের আইনজীবী জানিয়েছেন, '২০১৩-র মডেল অনুসরণ করলে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব।' এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, 'নজরদারির জন্য আপনারা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটা স্পষ্ট নয়। এখনও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও পরিকল্পনা আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়।'