ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ভোটের আগে অব্যাহত অশান্তি, ময়ূরেশ্বরে আক্রান্ত কংগ্রেস (Congress)। দুই কংগ্রেস প্রার্থীর আত্মীয়কে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত ২ কংগ্রেস কর্মী ভর্তি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল কংগ্রেসের। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশের তল্লাশি।                                           

  


ময়ূরেশ্বরে আক্রান্ত কংগ্রেস: ঘটনার সূত্রপাত এদিন সকালে। বিডিও অফিসে ফর্ম দেওয়া হচ্ছিল। ওই অফিসে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের দুই প্রার্থী, তাঁদের স্বামী  এবং কংগ্রেস কর্মীরা। ফেরার পথেই তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়। অভিযোগ আক্রমণ করে তৃণমূল। রীতিমতো লাঠি, লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। তাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে আটক করা হয়েছে।                         


একের পর এক মৃত্যু: গণতন্ত্রের উৎসবে ঝরে যাচ্ছে একের পর এক প্রাণ। ১৫ দিনে প্রাণ গেল ৮ জনের। এর আগে গত ৯ জুন মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। ১৫ জুন মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে ভাঙড়ে খুন হন দুই তৃণমূল কর্মী রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর এবং ১ আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল শেখ খুন হন। ১৭ তারিখ, শনিবার মালদার সুজাপুরে পিটিয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাফা শেখকে। ১৭ তারিখ রাতেই খুনের ঘটনা ঘটে কোচবিহারের দিনহাটায় খুন হন শম্ভু দাস নামে বছর ২৭-এর এক বিজেপি কর্মী। আর চোপড়ায় মনোনয়ন-সন্ত্রাসে গুলিবিদ্ধ সিপিএম কর্মী মনসুর আলমের মৃত্যু হল আজ। আর এদিনই ফের দুই কংগ্রেস প্রার্থীর আত্মীয়কে মারধরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির শাসক দলের বিরুদ্ধেই।                                                                                                           


আরও পড়ুন: Homemade Candle: রং-সুগন্ধের সমাহার, ঘরেই চটজলদি তৈরি মোমবাতি