অধীর চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদের ( Murshidabad ) বড়ঞায় বিডিও অফিসের সামনে রাতভর অবস্থানে অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury ) । কমিশনের 'ঘুম' ভাঙাতে নিজে না ঘুমিয়ে রাতভর অবস্থান করলেন অধীর চৌধুরী। পুলিশের সামনেই নেতা, কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বিডিও অফিসে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বড়ঞা বিডিও অফিসের সামনে ২৪ ঘণ্টা ধরনায় বসে রইলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। খোলা আকাশের নীচে রাতভর অবস্থান চালিয়ে গেলেন অধীর চৌধুরী। 


কী বললেন অধীর


এদিন অধীর জানান, 'আমাদের ৪-৫ জন মাত্র নেতা নেত্রী ছিলেন। তাঁদেরকে বীভৎসভাবে, শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হল, মারা হল, রক্তাক্ত করা হল। সেই সঙ্গে সঙ্গে যত প্রতীক চিহ্ন ছিল সব ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেল। আমরা তো কিছু চাইছি না। কংগ্রেস দল করি সবাই জানে। আমার প্রতীক কী, হাত চিহ্ন। আমি শুধু হাত চিহ্নটা চেয়েছি মাত্র।'


'পানীয় জলটুকুরও ব্য়বস্থা করা হয়নি'


দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নিয়ে কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে, আহত নেতা, কর্মীদের সঙ্গে নিয়েই মাটিতে বসেই অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন তিনি। এই প্রবল গরমে প্রশাসনের তরফে পাখা, এমনকি পানীয় জলটুকুরও ব্য়বস্থা করা হয়নি বলে অধীর চৌধুরীর অভিযোগ। মঙ্গলবার বড়ঞা বিডিও অফিসে প্রতীক জমা দিতে যায় কংগ্রেসের মহকুমা ও ব্লক নেতৃত্ব। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামতেই তাঁদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশের সামনেই চলে মারধর।        

কংগ্রেস নেতাদের কাছ থেকে প্রতীক জমা দেওয়ার ফর্মও কেড়ে নেওয়া হয়। গন্ডগোলের মধ্যে শেষমেশ প্রতীক জমাই দিতে পারেনি কংগ্রেস।                            


প্রেক্ষাপট
মনোনয়নের শুরুর দিনে খুন হতে হয়েছে কংগ্রেস কর্মীকে। এরপর, বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীদের। এমনকি, দিকে দিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে কংগ্রেস কর্মীদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। আর এবার, ছিনিয়ে নেওয়া হল দলের প্রতীকই।  পরিস্থিতি এমন হল, বহরমপুর থেকে বড়ঞায় ছুটে গিয়ে বিডিও অফিসের সামনে রাতভর ধরনায় বসে থাকতে হল খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে।       


আরও পড়ুন