'পঞ্চায়েত এবার থেকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করব। কাউকে ১ পয়সাও দেবেন না। এক পয়সাও সরকার আপনার থেকে নেয় না। এটা সরকারের টাকা' - সোমবার কোচবিহার থেকে বলেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই একই সুর শোনা গেল মঙ্গলবারও। বললেন, কেউ টাকা চাইলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন !
মালবাজারের মাটি থেকে বিজেপির উদ্দেশে কটাক্ষ শাণিয়ে বললেন, বাংলার মাটিতে ভয় দেখিয়ে কিছু করা যায় না'। আবারও বললেন, ' আগে আমরা দেখতাম না, এবার পঞ্চায়েত জেতার পর দল নজর রাখবে। কাউকে এক পয়সা দেবেন না, এসবই আপনার অধিকার। কেউ টাকা চাইলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সর্বত্র তৃণমূল জিতবে'
আরও পড়ুন :
' চা-বাগানের শ্রমিকদের জন্য আমরা ঘর বানিয়ে দেব' মালবাজার থেকে মমতার প্রতিশ্রুতি
এদিন একদিকে, গ্রামবাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করলেন। পাশাপাশি প্রশাসনের আদর্শ চেহারা তুলে ধরার বার্তাও দিলেন। সোমবার তিনি বলেন, ' প্রায় ২ মাস ধরে, অভিষেকরা, পুরো টিমরা, সারা জেলায় জেলায় ঘুরেছে, ৯৯ পারসেন্ট জায়গায় প্রার্থী ঠিক হয়েছে। ১ পার্সেন্ট আছে, চুরিও করবে, প্রার্থীও চাইবে, সেটা আমরা দিচ্ছি না।' মঙ্গলবার তিনি বললেন, ' শান্তিতে নির্বাচন হবে, সবাই নিজের ভোট দেবে। আগামীদিনে নরেন্দ্র মোদিকে সরানোর জন্য ভোট দেবেন। এখানে আপনার অধিকার, নিরাপত্তা কেউ কেড়ে নেবে না'
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলদের নাম নিয়ে যখন বিরোধীরা প্রতি মুহূর্তে তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছে, তখন সুকৌশলে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একদিকে, অভিযোগ এবং আরেকদিকে, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ' মোদি আজ আছেন কাল নেই, আপনাদের তো দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে হবে ... দেশকে বেচে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার '। বললেন, ' একশ দিনের টাকা আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ছিনিয়ে আনব। ১২০০ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল। সব বন্ধ করলেও মুখ বন্ধ করতে পারবে না। বিজেপির আয়ু আর মাত্র ৬ মাস'।
সোমবার কোচবিহারে প্রথম নির্বাচনী সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে আঘাত হানাই তৃণমূলের লক্ষ্য। তাই দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উত্তরবঙ্গ থেকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করেছেন মমতা। মঙ্গলবারই ফিরবেন কলকাতায়। এরপর জঙ্গলমহলেও সভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সাধারণত পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নামেন না মমতা। সেদিক থেকে এবারের নির্বাচন ব্যতিক্রম।