সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর :  ভোট সন্ত্রাস ( Post Poll Violence ) কমার নামগন্ধ নেই। দিকে দিকে বাড়ছে মৃত্যু। চড়ছে হিংসার পারদ। ঘটছে নিকৃষ্ট ঘটনা।  সবং, দাঁতনের পর এবার গড়বেতা। ভোটপর্ব মেটার পরেও সেখানে অব্যাহত সন্ত্রাস। শুক্রবার গড়বেতার মায়তায় বিজেপি ( BJP )  প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে তৃণমূলের ( TMC ) পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে এসে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, ওই পোলিং এজেন্টের মুখে প্রস্রাবও করে দেওয়া হয়।  

জল চাওয়ায় মুখে প্রস্রাব 
আক্রান্তের অভিযোগ, মারধরের পর তাঁর মুখে প্রস্রাবও করে দেয় ওই তৃণমূল কর্মীরা। ভোটে জেতার পর বিজয় উৎসব করছিল তৃণমূল সমর্থকরা। সেই সময় পোলিং এজেন্ট বরুণ রুইদাসের মুখোমুখি হয় তারা। অভিযোগ তাঁকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরা হয়। তারপর তাঁর কাছে ফিস্ট করার টাকা চাওয়া হয়। তিনি তা দিতে না-চাওয়ায় বেদম মারধর করা হয়। মার খেতে খেতে তিনি যখন প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন, তখন তিনি জল খেতে চান। তখনই তাঁর মুখে প্রস্রাব করা হয় বলে অভিযোগ ! 


আক্রান্ত বিজেপি কর্মী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। রাতে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি সমিত দাস তাঁকে দেখতে যান। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।  

আরও পড়ুন :


বোমা ফেটে আহত ২ শিশু। মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূম, দিকে দিকে বারুদের গন্ধ!




জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিজেপি

ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়ে গেলেও আতঙ্কের পরিবেশ কমছে না। বৃহস্পতিবার হাওড়ার আমতায় বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আমতার অমরাগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৩ ও ৩৭ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন ঝুমা রায় ও কল্পনা রায়। মনোনয়ন পর থেকেই তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নিমেষের মধ্যে ভস্মীভূত হয়ে যায় মাটির বাড়ি। আগুনে পুড়ে ছাই ছটি বাড়ি ও একটি দোকান।  

শুধু সেখানে নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে  তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিজেপি কর্মী পূর্ণচন্দ্র নন্দী। মনোনয়ন পর্বের সময় থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর দাবি, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বাঁশ, লাঠি নিয়ে ৭-৮জন তৃণমূল কর্মী চড়াও হন তরুরই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির পোলিং এজেন্টের ওপর। যদিও সেখানেও শাসকদল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে।