শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : 'বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে 'রাক্ষসতন্ত্রে'র উদযাপন চলছে' । ভোট সন্ত্রাস নিয়ে সকালে এমনই তীক্ষ্ণ ভাষায় রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ( Suvendu Adhikari ) । বেলা যত গড়াতে থাকে, বাড়তে থাকে ভোট অশান্তি। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে আরো কড়া বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
'কালীঘাট চলো', ডাক
তিনি বলেন, বাংলাজুড়ে ভোট-সন্ত্রাস চলছে। এই পরিস্থিতিতে 'কালীঘাট চলো', ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'গুলি করুক, চলো কালীঘাট, ইটগুলো খুলে নিয়ে আসি'। শুভেন্দুর দাবি, ৩৫৬ অথবা ৩৫৫ জারি করা হোক ! 'বাংলাকে বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে যা করতে হয় করব', হুঙ্কার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি আরও বলেন, ' এখানে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হলে ৩৫৬ অথবা নির্বাচনের সময় ৩৫৫ করে যদি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে ইমপার্শিয়াল বা নিউট্রাল না করেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট হতে পারে না। '
তাঁর অভিযোগ, ট মানুষকে বলব, আজ যা যা হচ্ছে সব নোট করুন। কারণ কোর্ট মনিটর্ড নির্বাচন। কোর্টের অর্ডার মানেনি। কোর্ট বলেছিল, সিভিক ভলান্টিয়ার না লাগাতে। এরা লাগিয়েছে। কোর্ট বলেছিল, কনট্র্যাকচুয়ালদের ফার্সট, সেকেন্ড, থার্ড পোলিং করতে না, এরা প্রিসাইডিং পর্যন্ত করেছে। কোর্ট বলেছিল সিসিটিভি মনিটরিং করতে, যেখানে সিসিটিভি পাওয়া যাবে না, ভিডিওগ্রাফি করতে, সেটাও করেনি। '
ফের একবার এক দফায় ভোট নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন শুভেন্দু। বলেন, কোর্ট বলেছিল, 'আনুপাতিক হারে কেন্দ্রীয় পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ রাখতে হবে। যখন আনুপাতিক হারে একদিনে হয়নি, তখন ৩ দফায় করা উচিত ছিল।' n
'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাড়াটে খুনি রাজীব সিন্হা '
ভোটের দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। ভোট শুরুর কয়েকঘণ্টা আগে থেকেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে যায় বুলেটের দাপট। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদলকে। বিরোধী দলনেতার ট্যুইটে লেখেন, ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাড়াটে খুনি রাজীব সিন্হা তাঁর পরিকল্পনা কার্যকর করছেন। এটাই তাঁদের গণতান্ত্রিক মডেল।'