শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  ক্যানিংয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে সবুজ শিবির ( TMC ) । তাই চলছিল বিজয়োৎসব। আর তারপরই  খুন হয়ে গেলেন তৃণমূল কর্মী। কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম নান্টু গাজি।


বিজয়োৎসবের পর খুন !


শুক্রবার ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায় বিজয়োৎসব পালন করছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, সেইসময় বোমাবাজি শুরু করে আইএসএফ ( ISF )  আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কর্মী
নান্টু গাজিকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। 


তৃণমূল কর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় ৯ তারিখই ক্য়ানিং থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। কিন্তু একজনও গ্রেফতার হয়নি। 


এখনও অবধি পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে ভাঙড়ে ৭ জনের প্রাণ গেছে। তার মধ্য়ে আইএসএফ-এর ৩ জন।তৃণমূলের ৩ জন। এবং একজন নিরীহ বাসিন্দা।  

অন্যদিকে ক্য়ানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার দাবি,' ৩৫৫ ধারা জারি করার চেষ্টা চালাচ্ছে শুভেন্দু। ওই মাস্টারমাইন্ড। আইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে খুনের পরিকল্পনা। '                    


৩৮ দিনে মৃত্যু হল ৫৪ জনের


গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মীকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সকালে ঘটনাস্থলে যান ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস। আইএসএফের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট-সন্ত্রাসে বাংলায় ৩৮ দিনে মৃত্যু হল ৫৪ জনের।   


 মনোনয়ন-অপারেশন থেকে শুরু অশান্তি


ক্যানিংয়ে তৃণমূলের মনোনয়ন-অপারেশন থেকে শুরু হয় অশান্তি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল পর্বে  অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল এই ক্যানিং।  ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকে মনোনয়নপত্র ইস্যুতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। জুন মাসেই  তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে ক্যানিংয়ে। ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, গুলি কী হয়নি ক্যানিংয়ে ? গুলিবিদ্ধ হন একজন তৃণমূল কর্মী । খম হন ক্যানিংয়ের SDPO সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। তারপরই আসেন রাজ্যপাল।                   


আরও পড়ুন                                


মাথা যন্ত্রণায় জেরবার? ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় পাবেন কীভাবে?  

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন         


https://t.me/abpanandaofficial