হাড়োয়া: হাড়োয়ায় ভোট (Phase 7 Election 2024) দিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিজেপি কর্মী (BJP Worker Wails)। পা জড়িয়ে ধরলেন বিজেপি নেতার। মুখে শুধু একটাই কথা, 'আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান।'
বিশদ...
'ওরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, আমাকে বাঁচান', বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই বিজেপি কর্মী। দলনেতার পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করতে শোনা যায় তাঁকে। দলের নেতা তাঁকে জড়িয়ে ধরে আশ্বাস দেন, 'আমি ভোট দেওয়াব তোমাকে, চল।' এই বছর ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সাধারণ মানুষ যাতে তাঁর ভোটাধিকার স্বাধীন ভাবে প্রয়োগ করতে পারেন, সে জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয় কমিশনের তরফে। কিন্তু সাত দফা ভোটের প্রায় প্রত্যেকটিতেই এই রাজ্যে কম-বেশি কিছু না কিছু অভিযোগ শোনা গিয়েছে। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম কিছু হল না।
শুধু হাড়োয়া নয়, ভাঙড়ের নলমুড়ি গ্রামেও থমথমে ছবি। অভিযোগ, এদিন সকালে ভোট দিতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় ভোটারদের। তার পর থেকে, মাত্র ২০০ মিটার দূরের বুথেও যাওয়ার সাহসা পাচ্ছেন না সেখানকার মানুষ। তাঁদের প্রশ্ন, ভোট দিয়ে কী হবে? কারও কারও আবার অভিযোগ, সিপিএমের এজেন্ট হিসেবে যিনি বুথে গিয়েছিলেন, তাঁর অভিযোগ, বাহিনী-পুলিশ মিলে বের করে নিয়ে এসে মার খাইয়েছে। বস্তুত, শুরু থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। জখম কেউ কেউ এসএসকেএমে ভর্তি বলেও শোনা গিয়েছে। মারধরের অভিযোগ আসে ক্যানিং থেকেও। নির্দিষ্ট করে বললে, ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ির মধুখালির ঘটনা। সেখানে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে ভোটারকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিন জন ভোটারকে মারধরও করা হয় বলে খবর। বস্তুত, ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই এই ধরনের খবর শোনা যাচ্ছিল যা কিনা শনিবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে আরও বেড়েছে।
স্মরণে পঞ্চায়েত ভোট...
শেষ পঞ্চায়েত ভোটেও ব্যাপক হিংসার খবর শেনা গিয়েছিল এই রাজ্যে। একটা সময় পরিসংখ্যান দেখিয়েছিল, ৩৩ দিনে ৪০ জন ভোট হিংসার বলি হয়েছেন। তার আগে-পরে ধরলে সংখ্যা কোথায় পৌঁছয়, হয়তো অনেকেরই খেয়াল থাকবে। শাসক-বিরোধী নির্বিশেষে রক্ত ঝরেছিল সব তরফের। তার পর, এই বছরের লোকসভা ভোটেও ছবিটা যে পুরোপুরি বদলাল না, সেটা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন:গণনার দিনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা, খড়্গের বাড়িতে ঘরোয়া বৈঠক 'ইন্ডিয়া' জোটের?