পিলভিট: মন্দির সম্পূর্ণ না করেই ভগবান রামের (Lord Ram) প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য বিজেপি বিরোধী শিবির থেকে তখনই দাবি করা হয়েছিল লোকসভা ভোটের (Lokshaba Election 2024) আগে এই বিষয়টিকে ব্যবহার করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। হিন্দু আবেগকে প্রভাবিত করার জন্য রাম মন্দির তৈরি কৃতিত্ব কোনও ভাবে ২০২৪ সালের ভোট প্রচারে কোনওভাবেই ছাড়বে না বিজেপি (BJP)। আর এই আশঙ্কা থেকেই নাকি বিরোধী ইন্ডি জোটের কোনও নেতা-নেত্রীই আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও হাজির হননি গত ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের দ্বারোধঘাটন বা রাম লালার প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে (Pran Pratishtha ceremony)।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে দাঁড়িয়ে এই বিষয়টি নিয়েই বিরোধীদের কটাক্ষ করেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপি বিরোধী জোটের মূল উদ্য়োক্তা কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে দাবি করেন যে কংগ্রেস তোষণের রাজনীতির এত গভীরে চলে গেছে যে তারা আর কোনওদিন সেখান থেকে ফিরতে পারবে না।
কংগ্রেসের প্রকাশ করা নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি ইস্তেহারটি কংগ্রেসের নয় বরং মুসলিগ লিগের বলে মনে হচ্ছে বলেও পিলভিটের জনসভা থেকে কটাক্ষ করেন।
ইতিমধ্যে নরেন্দ্র মোদি যে তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে মুসলিম লিগের আদর্শের প্রতিফলন দেখা গেছে বলে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।
অযোধ্যার রাম মন্দির প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, "অযোধ্যায় বিশাল রাম মন্দির তৈরির জন্য মানুষ অনুদান দিয়েছেন। জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ রাম লালার মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয়েছে। কিন্তু, ইন্ডি জোটের দলগুলো সবসময় রাম মন্দির তৈরির বিষয়ে ঘৃণা ছড়িয়ে এসেছে। আপনারা যা করতে চেয়েছিলেন তা আদালতে করেছেন। কিন্তু, যখন উদ্যোক্তারা আপনাদের সম্মানের সঙ্গে সাদরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তখন আপনারা তা প্রত্যাখান করে ভগবান রামকে অপমান করেছেন। এমনকী ওদের দল থেকে যাঁরা প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁদের ৬ বছরের জন্য দল থেকে বরখাস্ত করেছেন। কংগ্রেস তোষণের রাজনীতির এতটাই গভীরে চলে গেছে যে তারা সেখান থেকে কোনও দিনই ফিরে আসতে পারবে না। কংগ্রেসের ইস্তেহার দেখে মনে হচ্ছে ওটা তাদের নয় বরং মুসলিম লিগের। মানুষের কাছে এই পাপ যারা করেছে তাদের কথা মনে রাখার অনুরোধ করব। কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি এই তোষণের রাজনীতি করার জন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনেরও বিরোধিতা করেছে। ভারত যদি প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব না দেয়, তাহলে কে দেবে?"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।