নয়া দিল্লি: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। দেশজুড়ে জোর কদমে চলছে প্রচার। এর মধ্যেই নিজের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাকে 'ঈশ্বর প্রদত্ত' বললেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

  


সংবাদমাধ্যম নিউজউইককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মোদি জানিয়েছেন, কাজের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। কোনও ফোন কল, মেসেজ তাঁকে কখনই মনোসংযোগ থেকে সরাতে পারে এটা। এই ক্ষমতাকেই 'ঈশ্বরের দেওয়া' বলে মনে করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ সকলের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে আগে শোনা। আমার এই ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতাটি রয়েছে। আমি কিন্তু নিজেও এই গুণটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে চলি। আমার আরও একটি গুণ রয়েছে। তা হল আমি কখনই কাজের সময় কে ফোন করল, কে মেসেজ করল তা নিয়ে বিশেষ ভাবি না। যখন আমি কোনও কাজ করি তখন নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে সে কাজ করি।  


দেশ থেকে বিদেশ মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন দেশ-বিদেশের নেতারাও। কীভাবে এই ক্ষমতার অধিকারী তিনি? এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, এক নেতাকে অবশ্যই নিচ থেকে উপরের প্রতিটি চ্যানেল, প্রতিটি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাঁদের দেখতে হবে, শুনতে হবে। একদম নিচের তলার কর্মীরাও কে কী ভাবছে , বলছে তা নিজের কানে শোনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কখনই একমুখী দৃষ্টি ঠিক নয়। কাজের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ হতে হবে। 


এ প্রসঙ্গে গুজরাতের একটি দুর্ঘটনার প্রসঙ্গও উঠে আসে মোদির মুখে। প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম সেই সময় একদিন রাত ৩টের সময় কার্জন শহর আমার কাছে ফোন আসে এক স্থানীয় বাসিন্দার থেকে। সাধারণত এরকম সময় কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করার নিয়ম নেই। কিন্তু আমার কাজের ধরন আলাদা সবসময়। তাই আমার কাছে ফোনটি আসে। আমাকে বলা হয় একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনে ওই এলাকার মানুষ। আমি সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। দেখা যায় একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।' 


আরও পড়ুন, নবরাত্রিতে নবরূপে রামলালা, সোনা-রুপো দিয়ে তৈরি পোশাকে অঙ্গরাগ


নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তাই কীভাবে কাজ করা উচিত সেই বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলে, আমি প্রয়োজনে অনেকক্ষণ ধরে কোনও কাজ খুঁটিয়ে দেখি এবং কীভাবে কাজটি করা যেতে পারে তা নিয়ে ভেবে যাই।' 


মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি সবসময়ই মানুষের ইমোশন বোঝার চেষ্টা করতেন। মোদি বলেন, তিনি প্রতি মাসে হাজার হাজার চিঠি পেতেন। চেষ্টা করতে বেশিরভাগ চিঠি নিজে পড়তে। যাতে মানুষ কী চাইছে, কী ভাবছে তা তিনি বুঝতে পারেন। সেই ভাবনা থেকেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মন কি বাত রেডিও প্রোগ্রাম শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।