কৃষ্ণনগর: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) দেশজুড়ে ৪০০ আসন জেতার টার্গেট নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর বাংলায় পাখির চোখ করেছে অন্তত ২৫টি আসন। পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে সক্রিয় হয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Prime Minister Narendra Modi)। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার প্রবল চেষ্টা সফল না হওয়ায় এবার লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই আরামবাগ, কৃষ্ণনগর ও বারাসাতে সভা করেছেন। সরকারি কাজে উদ্বোধন করেছেন গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রোও। আর এবার বঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে লড়াইয়ের ময়দানে নামা দলীয় প্রার্থীদের সোজাসুজি ফোন করে ভরসা দিচ্ছেন। বার্তা দিচ্ছেন কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করার। বসিরহাটে প্রার্থী হওয়া সন্দেশখালির সাধারণ গৃহবধূ রেখা পাত্রকে ফোন করে যা বলেছিলেন তার থেকে আরও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ভরসা যোগালেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী (Krishnanagar's BJP Candidate) রাজমাতা অমৃতা রায়কে (Rajmata' Amrita Roy) বললেন, "অমৃতাজি আপনাকে অভিনন্দন। বাংলায় পরিবর্তন হবেই। বিজেপি দুর্নীতিকে স্বমূলে উৎখাত করবে।"


রাজমাতাকে ফোন আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, "গরিব মানুষকে লুঠের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। ইডি যে সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। গরিব মানুষকে তা ফেরতের ব্যবস্থা করছি। এর জন্য যা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নিচ্ছি। আমি আশা করি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রাজ্যে পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেবেন। বাংলার গরিব মানুষের ৩ হাজার কোটি টাকা ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে গিয়ে ইডির দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা টাকা ফেরাতে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। নতুন সরকার গঠনের পরেই টাকা ফেরানোর পথ খোঁজা হচ্ছে।"


 






রাজমাতার সঙ্গে কথা বলার সময় কৃষ্ণনগরের জনপ্রিয় মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, "বাংলায় একসময়ের কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের মতো মহান রাজা রাজত্ব করেছেন। সেখানে আজ দুর্নীতির রাজত্ব চলছে। আমি তা উৎখাত করবই। আশা করি আপনি বিজয়ী হয়ে আপনার পরিবারের মর্যাদাকে আরও গৌরবান্বিত করবেন।"


প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদিকে দেখেই রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন বলে জানান কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়। বলেন, "আপনাকে দেখেই আমি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। বাংলার মানুষ তৃণমূলের উপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। আমি ইতিবাচক ভাবে চেষ্টা করছি। আপনি আমাকে গাইড করলে আশাকরি জয়ী হয়ে আপনার সঙ্গে কাজ করতে পারব। ৩০০ বছর আগে সনাতন ধর্ম বাঁচানোর জন্য কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারের ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়টিকে নিয়ে অপপ্রচার চলছে। আমাদের পরিবারকে গদ্দার বলে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই সময় ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত না মেলালে সনাতন ধর্ম থাকত না।" এর উত্তরে মোদি বলেন এটাই তৃণমূলের দ্বিচারিতা। নিজেদের পাপ লুকোতেই ওরা এই ধরনের প্রচার করবে। আবার রামের জন্মের প্রমাণও চাইবে।"  


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে হারিয়ে নিজেদের একসময়ের জেতা আসন পুনরুদ্ধার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal : 'তিহাড়ে বসেই খেলা হবে', শতাব্দীর দেওয়াল লিখনেও অনুব্রত আবেগ