কলকাতা: ষষ্ঠ দফার ভোটের পরও অব্যাহত অশান্তি।


বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বেলতলা রোড এলাকায় কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর।আক্রান্ত দলের প্রাক্তন মহিলা কাউন্সিলর। অভিযোগের তির আবার সেই শাসক দলের দিকে!

অভিযোগ, ষষ্ঠ দফার ভোট মিটতেই শনিবার রাতে কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এলাকার একাধিক কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

এরপর বালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে যান আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীরা। খবর পেয়ে আসেন কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর মানিলা চৌধুরী। অভিযোগ, থানা চত্বরেই ওই কংগ্রেস নেত্রীর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

এবিষয়ে বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, যারা এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ঘটনায় ১১ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে, ১৪৭ ও ১৪৯ ধারায় হিংসা ছড়ানো, জামিনঅযোগ্য ৩৫৩ ধারায় সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা এবং ৪২৭ ধারা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়।

এদিন ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু, সরকারি আইনজীবী না থাকায় জামিনের বিরোধিতা করা যায়নি। ফলে

অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

এদিকে, ভোটের পর অশান্তি বন্দর বিধানসভা এলাকাতেও। মেটিয়াবুরুজে ভাঙচুর করা হয় সিপিএমের ক্যাম্প অফিস। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠলেও,  তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর রহমত আনসারি। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।