কলকাতা: ভোটের ঠিক আগেই কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরিতে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারিয়েছিল কংগ্রেস। বাকি চার রাজ্যের সঙ্গে বিধানসভা ভোট হয়েছে সেখানেও। পুদুচেরি বিধানসভায় মোট আসন ৩৩টি। তার মধ্যে ৩ জনকে মনোনীত করে কেন্দ্র।


ভোট হয় বাকি ৩০টি আসনে। অর্থাত্‍ এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ম্যাজিক ফিগার ১৬।


সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, পুদুচেরিতে এবার ভোটে জিতে সরকার গড়তে পারে NDA শিবির। সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন রঙ্গস্বামীর দল AINRC, BJP আর ADMK নেতৃত্বাধীন NDA-এর দখলে যেতে পারে ১৯ থেকে ২৩টি আসন।


কংগ্রেস ও DMK-র জোট UPA,৬ থেকে ১০টি আসনে জিততে পারে।


অন্যান্যরা ১ থেকে ২টি আসনে জিততে পারে বলে সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত।


ভোট শতাংশের নিরিখেও অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পারে NDA। সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, পুদুচেরিতে এবার ৪৭ শতাংশের (৪৭.১) বেশি ভোট পেতে পারে NDA।


UPA পেতে পারে ৩৪ শতাংশের (৩৪.২) বেশি ভোট। অন্যান্য দলগুলি প্রায় ১৯ শতাংশ (১৮.৭) ভোট পেতে পারে। তবে এ তো সমীক্ষা মাত্র! 


এদিকে, কেরলে ইতিহাস তৈরি করে বাম শিবিরের ক্ষমতা ধরে রাখার ইঙ্গিত, অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে ক্ষমতার পালাবদলের ইঙ্গিত মিলেছে সি ভোটারের সমীক্ষায়।


যে কোনও বুথফেরত সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস-মাইনাস ৩ শতাংশ। এই সমীক্ষার সঙ্গে আমাদের এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্টেরও এখানে কোনও জায়গা নেই। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া সংখ্যাগুলো আমরা হুবহু আপনাদের সামনে তুলে ধরি মাত্র।


এক্সিট পোলকে ধ্রবসত্য মনে করে উচ্ছ্বসিত, ক্ষুব্ধ বা হতাশ হওয়ার কোনও জায়গা নেই। কারণ সমীক্ষা কখনও মেলে, কখনও একেবারেই মেলে না। কয়েক মাস আগে বিহার বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে এক্সিট পোল মেলেনি। আবার ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ের ক্ষেত্রে মিলেছিল। তাই শেষ কথা বলা যাবে, আগামী রবিবার ২ মে।