কলকাতা: সি-ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী ১৫২ থেকে ১৬৪ আসন পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ, সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পেতে পারে ১০৯ থেকে ১২১ আসন।  সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে ১৪ থেকে ২৫ আসন।


সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, তৃণমূল ৪২ শতাংশ ভোট পেতে পারে। বিজেপি পেতে পারে ৩৯ শতাংশ ভোট। সংযুক্ত মোর্চা ১৫ শতাংশ ও অন্যান্যরা ৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে।


গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪৪.৯ শতাংশ। বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ১০.২ শতাংশ। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৩৭.৯ শতাংশ ভোট। অন্যরা পেয়েছিল ৭ শতাংশ ভোট।


২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৬ দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল। ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২১১টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল তৃণমূল। সে বার বিজেপি মাত্র ৩টি আসন জিততে পেরেছিল। খড়্গপুর সদর, মাদারিহাট এবং বৈষ্ণবনগর। ২০১৬-তে বামফ্রন্ট আর কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়াই করেছিল। তাদের ঝুলিতে গিয়েছিল ৭৭ আসন। নির্দল ৩ ও বিজেপি ৩ আসনে জয়ী হয়েছিল।

২০১১-র বিধানসভা ভোটের তুলনায় ২৭ আসন বেশি পেয়েছিল তৃণমূল। ২৯৩ আসনে লড়াই করে জিতেছিল ২১১ আসনে। কংগ্রেস ৯২ আসনে লড়াই করে জিতেছিল ৪৪ আসনে। সিপিএম ১৪৮ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ২৬ আসন। ফরোয়ার্ড ব্লক ২৫ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ২ আসন। আরএসপি ১৯ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ৩ আসন। সিপিআই ১১ আসনে লড়েছিল। পেয়েছিল ১ টি আসন। 


২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। বাম, কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি।


সি ভোটারের বুথ ফেরত  সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের দুশো বিরানব্বইটি বিধানসভা কেন্দ্রের পঁচাশি হাজারেরও বেশি ভোটারের সঙ্গে একেবারে সরাসরি কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে সাতাশে মার্চ থেকে উনত্রিশে এপ্রিল পর্যন্ত। মার্জিন অফ এরর প্লাস-মাইনাস ৩ শতাংশ।  এই সমীক্ষার সঙ্গে আমাদের এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই।আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্টেরও এখানে কোনও জায়গা নেই। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া সংখ্যাগুলো আমরা হুবহু আপনাদের সামনে তুলে ধরি মাত্র। আবার বলি, এক্সিট পোলকে ধ্রবসত্য মনে করে উচ্ছ্বসিত, ক্ষুব্ধ বা হতাশ হওয়ার কোনও জায়গা নেই। কারণ সমীক্ষা কখনও মেলে, কখনও একেবারেই মেলে না। কয়েক মাস আগে বিহার বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে এক্সিট পোল মেলেনি। আবার ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ের ক্ষেত্রে মিলেছিল। তাই শেষ কথা বলা যাবে, আগামী রবিবার দোসরা মে।