ভাগলপুর: লোকসভা নির্বাচনে এবার ৪০০ পারের ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ। একক ভাবে BJP-কে ৩৭০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi) দাবি, এবারের নির্বাচনে BJP ১৫০টির বেশি আসন পাবে না। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার এমন দাবি করলেন রাহুল। বেশ কয়েক দিন আগেও এমন দাবি করেছিলেন তিনি। (Lok Sabha Elections 2024)


বিহারে ভাগলপুর হয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন রাহুল। শনিবার সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী অজিত শর্মার হয়ে সভা করেন তিনি। সংযুক্ত জনতা দলের অজয়কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে লড়ছেন অজিত। তাঁর সমর্থনে প্রচারে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন রাহুল। তিনি বলেন, "লাগাতার BJP নেতারা দাবি করছেন নির্বাচনে ৪০০-র বেশি আসন পাবেন বলে। আমি বলে রাখছি, BJP ১৫০টির বেশি আসন পাবে না। ওদের যা ইচ্ছে বলতে দিন, ওরা ১৫০-এর বেশি আসন পাবে না।"


রাহুল আরও বলেন, "আজ দেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন। এক দিকে কংগ্রেস এবং I.N.D.I.A জোট, যারা সংবিধান এবং গণতন্ত্র বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আর অন্য দিকে, RSS-BJP, যারা দেশের সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে চলেছে। আজ পর্যন্ত দেশের দরিদ্র মানুষ যা অর্জন করেন, তা সংবিধান থেকেই পাওয়া। সেই সংবিধান না থাকলে, দরিদ্র মানুষের থেকে সব কেড়ে নেওয়া হবে।"


আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2024: 'Home Voting'-এর সুবিধা প্রত্যাখ্যান, ভোট দিতে সশরীরে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ১১১-র বৃদ্ধা !


রাহুলের সঙ্গে ভাগলপুরের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা এবং বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিংহ এবং বিহারে কংগ্রেসের অধ্যক্ষ মোহন প্রকাশও। সেখানে বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোটের অধীনে একসঙ্গে লড়াই করছেন সকলে। 


ওই সভায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও আক্রমণ করেন রাহুল। দেশের সম্পদ মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতির হাতে মোদি তুলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাহুল জানান, ৭০ কোটি ভারতীয়র মোট সম্পদ যত, দেশের ২২ জনের কাছে ওই সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে। এক দিকে, দেশের সম্পদ যখন আম্বানি-আদানিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেই সময় দেশের কোটি কোটি মানুষের দৈনিক ১০০ টাকা আয় করেন বলে এদিন মন্তব্য করেন রাহুল। রাহুলের দাবি, ২০-২৫ জনের ১৬ লক্ষ কোটির ঋণ মাফ করে দিয়েছেন মোদি, ওই টাকায় কৃষকদের সমস্ত ঋণ ২৫ বারা মকুব হয়ে যেত বলেও দাবি করেন তিনি। দেশের বেকারত্বের জন্যও মোদিকে দায়ী করেন রাহুল।


একসময় ভাগলপুর কংগ্রেসের গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু ১৯৮৯ সালের দাঙ্গার পর সেখানে জমি হারায় কংগ্রেস। সেই থেকে বিজেপি এবং সংযুক্ত জনতা দলের শক্তি বাড়ে সেখানে। শেষ বার ১৯৮৪ সালে ভাগলপুর আসনটিতে জয়ী হয় কংগ্রেস। ২০ বছর পর আবার সেখানে প্রার্থী দিয়েছে তারা।