নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের শেষ দিন আজ। অথচ এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের হাইপ্রোফাইল আসন অমেঠীতে প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। আগামী ২০ মে অমেঠীতে ভোটগ্রহণ। আর কবে প্রার্থী ঘোষণা করবে কংগ্রেস, প্রশ্ন উঠছে সব মহল থেকেই। সেই নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। তবে অমেঠী নিয়ে কিছু খোলসা না করলেও, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কত আসন পেতে পারে, তা নিয়ে নিজের হিসেব জানালেন রাহুল। (Lok Sabha Elections 2024)


নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে শেষ লগ্নের প্রচার সারতে ব্যস্ত রাহুল। বুধবার সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। সেখানে অমেঠীর প্রসঙ্গ উঠলে রাহুল বলেন, "বিষয়টি কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটির (CEC) এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। CEC এবং কংগ্রেস সভাপতি যা বলবেন, আমি তা-ই করব। CEC-ই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী।"


একসময় অমেঠী আসনটি সঞ্জয় গাঁধী, রাজীব গাঁধী এবং সনিয়া গাঁধীর দখলে ছিল। রাহুলও অমেঠী থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিন-তিনবার, ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে। ২০১৯ সালে ওই আসনে রাহুলকে পরাজিত করেন বিজেপি-র স্মৃতি ইরানি। রাহুল কেরলের ওয়েনাড থেকে লোকসভায় সাংসদ হন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবারও রাহুল অমেঠীতে ফিরবেন কিনা, সেই নিয়ে জল্পনা চলছে। এমনকি রাহুলের পরিবর্তে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা বা তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরাও অমেঠী থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা গিয়েছে জল্পনা। কিন্তু রাহুল সেই নিয়ে কিছু জানালেন না।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: I.N.D.I.A জোটকে নেতৃত্ব দেবে তৃণমূলই, অসমে বড় ঘোষণা মমতার


তবে অমেঠী নিয়ে কিছু না বললেও, এদিন ফের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল।তাঁর দাবি, আগে যা অনুমান করেছিলেন. বিজেপি তার চেয়েও কম আসন পাবে। রাহুল বলেন, "১৫-২০ দিন আগে আমি ভাবছিলাম বিজেপি ১৮০-র মতো আসন পেতে পারে। কিন্তু এখন আমার মনে হয়, ওরা ১৫০ আসন পাবে। প্রত্যেক  রাজ্য় থেকে রিপোর্ট পাচ্ছি আমরা যে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে আমাদের জোট মজবুত। এখানে ভাল ফল হবে বলে আশাবাদী আমরা।"


নির্বাচনী বন্ড প্রসঙ্গে এদিন ফের প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন রাহুল। নির্বাচনী বন্ড 'পৃথিবীর বৃহত্তম তোলাবাজ চক্র' বলে অভিযোগ করেন তিনি। মোদিকে 'দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন' বলে কটাক্ষ করেন। রাহুলের প্রশ্ন, "প্রধানমন্ত্রী বলছেন, রাজনীতিতে স্বচ্ছতা আনতেই নির্বাচনী বন্ডের আমদানি হয়। তা-ই যদি হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট কেন বাতিল করল? আর যদি স্বচ্ছতাই চান, তাহলে বিজেপি-কে কারা টাকা দিয়েছে, সেই নামগুলি গোপন রেখেছিলেন কেন? কোন তারিখে টাকা পেয়েছে বিজেপি, কেন লুকিয়ে রেখেছিলেন?" ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই নির্বাচনী বন্ড মারফত সবচেয়ে বেশি চাঁদা পেয়েছে বিজেপি-ই। ইডি, সিবিআই, আয়কর হানার পর পরই কিছু সংস্থা বিজেপি-কে মোটা টাকা চাঁদা দিয়ে রেহাই পেয়ে যায় বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে।