কলকাতা: আর মাত্র কয়েক দিনের মাথায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পরই রাজ্যসভা নির্বাচন হতে চলেছে। আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যসভার ১০টি আসনে নির্বাচন রয়েছে (Rajya Sabha Election)। এর মধ্যে বাংলার আসন সংখ্যা সাত। মেয়াদ শেষ হচ্ছে ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী, সুখেন্দুশেখর রায়ের। এঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সাংসদ (TMC)। এ ছাড়াও বাংলা থেকে রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যের। আগামী ১৮ অগাস্ট মেয়াদ শেষ হচ্ছে এঁদের।
এ বছর এপ্রিল মাসেই ইস্তফা দেন লুইজিনহো ফালেইরো, তৃণমূল থেকে এবং রাজ্যসভা থেকেও। তাঁর আসনেও উপনির্বাচন রয়েছে। রাজ্যসভার মোট ১০ আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। এর মধ্যে বাংলা থেকেই আসনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গুজরাতের তিন এবং গোয়ার একটি আসনেও নির্বাচন হতে চলেছে। মঙ্গলবার সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্যসভা নির্বাচনের দিনই গণনা শেষ হবে। ১৩ জুলাই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
গুজরাত থেকে যাঁদের রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাঁরা হলেন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, দীনেশ জেমালভাই আনাভাদিয়া এবং লোখান্ডওয়ালা যুগল সিংহ মাথুরজি। গোয়া থেকে মেয়াদ শেষ হচ্ছে সাংসদ বিনয় তেন্ডুলকরের। এর আগে গত বছর জুলাই মাসে রাজ্যসভা নির্বাচন ছিল। সেবার চার রাজ্য থেকে আটটি আসনে জয়ী হন বিজেপি-র প্রার্থীরা। রাজস্থানের তিনটি আসন ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। আবার রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের একটি করে আসনে নতুন করে জয়লাভও করে তারা।
এঁদের মধ্যে ২০১১ সালে প্রথম বার রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন ডেরেক। ২০১২ সালে রাজ্যসভায় মুখ্য হুইপও হিসেবেও তাঁর নাম প্রস্তাব করে তৃণমূল। ২০১২ সালের ১৩তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান করেন ডেরেক। সেই প্রথম অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায় থেকে কেউ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাজ্যসভা থেকে ভোটদান করেন। ২০১৭ সাল দ্বিতীয় বারের জন্য রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন ডেরেক।
অন্য দিকে, সুখেন্দুশেখরও ২০১১ সাল থেকে রাজ্যসভার সাংসদ। ২০১৭ সালে দোলাকে সাংসদ করে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। তার আগে, INTTUC-র সভানেত্রী ছিলেন দোলা। কংগ্রেস ছেড়ে ২০২১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন সুস্মিতা। তার পর তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল, অর্পিতা ঘোষ সরলে তাঁর জায়গায় পাঠানো হয় সুস্মিতাকে।