দীপক ঘোষ, কলকাতা: ২৪ জুলাই বাংলা থেকে রাজ্যসভার ছ'টি আসনে নির্বাচন এবং একটি আসনে উপনির্বাচন (Rajya Sabha Elections 2023)। তৃণমূলের তরফে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও এখনও নাম ঘোষণা করেনি রাজ্য বিজেপি। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমার শেষ দিন। তার আগে সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থীর নাম এখনও জল্পনাই চলছে। এ নিয়ে দলের তরফে রা কাড়ছেন না কেউই (West Bengal BJP)। 


পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হলেই রাজ্যসভা নির্বাচন। ২৪ জুলাই বাংলা থেকে রাজ্যসভার ছ'টি আসনে নির্বাচন এবং একটি আসনে উপনির্বাচন।
এর মধ্য়ে যে পাঁচটি আসনে এবং উপনির্বাচন যে আসনে হচ্ছে, তাতে তৃণমূলের জয় অঙ্কের হিসাবে নিশ্চিত। বাকি একটি আসন পাবে বিজেপি। 
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।


তার আগে রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়ে বিজেপি-তে টানটান সাসপেন্স। কার নাম পাঠানো হবে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও, বেশ কয়েক জনের নাম ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। যে নামগুলি উঠে আসছে, সেগুলি হল- ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh), স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta), অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় (Anirban Ganguly), অনন্ত মহারাজ (Ananta Maharaj), শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বিজেপি-র একটি সূত্রে খবর, রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন এই পাঁচজন।


আরও পড়ুন: Panchayat Election Counting : প্রতি গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সিসিটিভি, ৩৩৯ কেন্দ্রে আজ পঞ্চায়েতের ভোট গণনা

এর মধ্যে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং একদা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ভারতীর নাম রয়েছে। বিজেপি-তে গিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে তেমন সফল হতে পারেননি তিনি। এবার রাজ্যসভার জন্য তাঁকে ভাবা হচ্ছে বলে জল্পনা। তবে তাঁকে কড়া টক্কর দিতে পারেন স্বপন। কারণ আগে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুর আসনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন অনির্বাণ। তাঁকে ঘিরে যেমন জল্পনা শোনা যাচ্ছে, তেমনই কোচবিহারের রাজবংশী সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা অনন্ত মহারাজের নামও শোনা যাচ্ছে। আবার রাজ্য বিজেপি-র দীর্ঘদিনের নেতা শমীকের নামও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে।


তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত কাউকেই কি রাজ্য়সভায় প্রথমবার বাংলা থেকে পাঠাবে বিজেপি? নাকি মূলত দিল্লির মুখ বলে পরিচিত কাউকে রাজ্য়সভার সাংসদ করা হবে? বিজেপি-র একটি সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বিজেপি-র দিল্লি নেতৃত্বের খুব কাছাকাছি রয়েছেন ভারতী ঘোষ। তাঁকে কেন্দ্রীয় মুখপাত্র করা হয়েছে। ভারতীকে সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টি অধিবেশনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে।

স্বপন দাশগুপ্ত আগেও রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন বটে। কিন্তু তিনি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মনোনীত। সূত্রের খবর, তাঁর পক্ষে রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অনির্বাণ আবার অমিত শাহের অত্যন্ত কাছের বলে পরিচিত। সূত্রের খবর, শমীক ভট্টাচার্যর পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় আরএসএস নেতৃত্বের একটি অংশ। তাদের যুক্তি, এমন কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানো হোক, যিনি দলের পুরনো এবং পরিচিত মুখ। সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ভারতী।


এমনকি দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বের ভাবনায় মিঠুন চক্রবর্তীও (Mithun Chakraborty) রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এর আগে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও রাষ্ট্রপতি মনোনীত ছিলেন। স্বপন এবং রূপা, দু'জনেরই রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। মিঠুন কে সেই শূন্যস্থানে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তবে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শেষমুহুর্তে কোনও চমক দেন কিনা, সেটাও দেখার।