ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : লোকসভা ভোটে এখনও পর্যন্ত ৩৮ জনের যে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি তাতে কেন তাঁর নাম নেই তা নিয়ে নিজের অসন্তোষ গোপন করেননি রুদ্রনীল ঘোষ। এরকম একটা আবহে আজ বিজেপির বৈঠকে যোগ দিলেন তিনি। ভোট প্রচারের রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠকে বিজেপি। সল্টলেকে বিজেপি দফতরে প্রচারের রূপরেখা ঠিক করা হবে। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডেরা।


চারটি বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ৩৮টি কেন্দ্রে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, সাংগঠনিকভাবে দলের তরফে সাংস্কৃতিক জগতের যেসব মুখ রয়েছে, তাঁদের ব্যবহার করে প্রচারের রূপরেখা গ্রহণ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেসব ঠিক করতেই রুদ্রনীলের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। রুদ্রনীল জানিয়েছেন, তমলুক কেন্দ্র থেকে অর্থাৎ যেখানে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সেখানে থেকেই প্রচারের কৌশল নেওয়া হয়েছে। 


রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, "অভিমান অন্যের উপরে হয়। আমার তো অভিমান কারও উপর ছিল না, অভিযোগও নেই। মন হালকা খারাপ রয়েছে। কিন্তু, তার থেকেও বেশি আমার দলীয় দায়িত্ব রয়েছে। সেগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তির থেকে এখানে দল বড়। এখানে মনের থেকে টার্গেট অনেক বড়। সেই টার্গেট হচ্ছে যে, মোদিজি যে বাস্তবিক স্বপ্ন আমাদের সফল করার জন্য মাঠে নামিয়েছেন, প্রান্তিক মানুষের জন্য, দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে পিছিয়েপড়া যাঁরা মানুষ রয়েছেন তাঁদের তুলে আনার জন্য এবং তার সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের হত্যাকারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে আপোসহীন লড়াইয়ের জন্য। ফলে, দল যে কর্মসূচি দিয়েছে, প্রচার থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য নাটকের মাধ্যমে প্রচার সেগুলোর দায়িত্ব রাজ্যে আমার উপর রয়েছে। ফলে, সেবিষয়ে কাজ এবং কথার জন্য মিটিং করতে এসেছি। আর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুধু আমার কেন, অনেকেরই পছন্দের মানুষ। ফলে, অবশ্যই তাঁর প্রচারে যাব। আমার খুব প্রিয় মানুষ।"


লোকসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে সম্প্রতি নিজের অভিমান চাপা রাখেননি বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। বলেন, যাঁরা যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের ঠিক কোন যোগ্যতাটা রয়েছে এবং যেটা তাঁর নেই। সেটা অনুধাবন করবেন। 'চ্যাটার্ড ফ্লাইট' নিয়েও খোঁচা দেন রুদ্রনীল। যে ৩৮ জন প্রার্থীর নাম বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ঘোষণা করেছে, তাদের চেয়ে কোথায় তিনি অযোগ্য ? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রুদ্রনীল!