সবং (পশ্চিম মেদিনীপুর): সবংয়ে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ১১ জন কংগ্রেস ও সিপিএম সমর্থক। দোষীদের শাস্তি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে দরবার তৃণমূলের। মানস ভুঁইয়াকে হারানোর লক্ষ্যে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, দাবি সবংয়ের কংগ্রেস নেতৃত্বের।
একদিকে মানস ভুঁইয়ার গ্রেফতারির দাবিতে তৃণমূলের হুঁশিয়ারি! অন্যদিকে, এককাট্টা কংগ্রেস-সিপিএম। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ক্রমশ চড়ছে সবংয়ের রাজনীতির পারদ। সোমবার সবংয়ে ভোট। তার ঠিক আগে শনিবার রাতে ১১ জন কংগ্রেস ও সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ২ জনের পুলিশ হেফাজত এবং ৯ জনকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে মেদিনীপুর আদালত।
তৃণমূল নেতা জয়দেব জানা খুনের ঘটনায় সবংয়ের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া-সহ ২২ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ধৃত এগারো জনেরই নাম রয়েছে এফআইআরে। যদিও, মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর দাবি, মানস ভুঁইয়ার গ্রেফতার চাই।
দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দরবার করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করে দোষীদের শাস্তি চেয়ে দরবার করেছি।
রাজনৈতিক খুন নিয়ে কয়েকদিন আগে এই মুকুল রায়ই কমিশনের উদ্দেশ্যে পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন! বলেছিলেন, দলের কেউ খুন হলে, কমিশনের দফতরের সামনে রেখে দেব।
যদিও সবংয়ের দলীয় নেতা খুন নিয়ে কমিশনে দরবার করতে এসে পুরোপুরি উল্টো সুর মুকুল রায়ের গলায়! তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়, আপনারা তো বলেছিলেন দেহ আনব? উত্তরে মুকুলবাবু বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে, এগুলো করা যায় না। এটা অনুচিত।
তৃণমূলের দাবি, হার নিশ্চিত জেনে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস-সিপিএম।যদিও সবংয়ের কংগ্রেস নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, মানস ভুঁইয়াকে হারানোর লক্ষ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে শাসক দল। কংগ্রেস নেতা
নির্মল বেরার অভিযোগ, চক্রান্ত করে ভোটের আগে মিথ্যে করে নাম ঢোকাচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তৃণমূলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি ছুড়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বলেছেন, মানসকে গ্রেফতার করলে ফল ভাল হবে না।
তৃণমূল নেতা খুনের পর থেকে গ্রামছাড়া এলাকার বহু কংগ্রেস নেতা ও কর্মী। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ভোটের লাইনে দাঁড়াচ্ছে সবং।