অরিত্রিক ভট্টাচার্য, শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : রাজ্যে এসেছেন অমিত শাহ। আর আজই দেউচা পাঁচামির সভা থেকে একের পর এক ইস্যুতে মোদি-শাহ ও বিজেপিকে ধারালো আক্রমম করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষকদের চাকরি বাতিল থেকে সন্দেশখালি, সবকিছু নিয়েই চোখা চোখা বাক্যে বিঁধলেন গেরুয়া শিবিরকে। 


বাংলার চাকরি বাতিলের সঙ্গে মমতা জুড়ে দিলেন ব্যাপম কেলেঙ্কারিকে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, '২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেয়েছে। যদি কেউ ভুল করে সুযোগ দাও। মধ্যপ্রদেশের ব্য়াপম যারা তদন্ত করতে গেছিল, সবাইকে মেরে ফেলেছে। ' এর আগেও ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের জন্য বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।  


গত শনিবারই একটি ভিডিও প্রকাশ করে সন্দেশখালির ঘটনা বিজেপির পরিকল্পিত বলে দাবি করে তৃণমূল। সরাসরি বিজেপির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার প্রচার-সভায় মমতা আবারও সরব হলেন বিজেপির বিরুদ্ধে, হাতিয়ার সেই তৃণমূলের প্রকাশিত সেই ভিডিও, যেখানে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল দাবি করছেন, ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি, অথচ অভিযোগ করানো হয়েছে ! মমতা বলেন, 'সন্দেশখালির মা বোনেদের প্ল্য়ান করে অসম্মান করেছে। মেয়েদের কাছে টাকার চেয়ে শাড়ির আঁচল অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সম্মান গুরুত্বপূর্ণ। বেশি চক্রান্ত করো না। সব কিছু পরিকল্পনা করেছে। '


যদিও সন্দেশখালি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা আক্রমণ করেছেন শাহ। এদিন বাংলায় প্রচারে এসে শাহের প্রশ্ন,  'মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বলুন, সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান নির্দোষ। উনি আগে বাংলার মানুষকে এই প্রশ্নটার জবাব দিন'।  শাহ আরও বলেন, 'মমতা দিদি আপনার লজ্জা হওয়া উচিত, আপনি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, আপনার নাকের ডগায় হাজার হাজার বোনের ওপর অত্যাচার, ধর্ষণ হয়েছে, কিন্তু আমি আজ বলতে চাই, সন্দেশখালিতে যে অত্যাচার করেছে, সে যদি পাতালেও লুকিয়ে থাকে, মমতা দিদি তাঁদের পাতালে লুকিয়ে রাখলেও, সেখান থেকে খুঁজে বের করে জেলে ঢোকাব।'


১ জুন, শেষ দফায় ভোট বসিরহাটে। তার আগে, সন্দেশখালি ইস্যুতে তপ্ত রাজনীতি। 


এদিন মোদি-শাহর নাম না করে তাঁদের মধুবাবু-বিধুবাবু বলে কটাক্ষ করেন মমতা। সেই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে 'আলিবাবা আর তার ৪০ চোর' বলে খোঁচা দেন তিনি। বলেন, 'ক্য়ায়া শরম কা বাত। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। ৩ বছর টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। পাল্টে দিন, বদলে দিন। যা কথা দিতে পারব না, আমি তা বলি না। দিল্লিতে সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছে মোদি, চাল দিচ্ছ না কাঁকড়। ভেবেছিল রেশন বন্ধ করে দেবে। আমরা ওদের ভোট বন্ধ করে দেব। ভোট আটকে দেব। নিজের ছবি লাগায় সব জায়গায়। চাকরি তো দেয়নি বেকার বাড়িয়েছে। '